দেশের সাড়ে ৩৫০ সংসদ সদস্যদের নিয়ে ‘স্মার্ট নেতৃত্ব’ কর্মশালার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করলো স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি (এসডিএলএ)। প্রথম দিনেই ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে তার একটি কল্পিত চিত্র উপস্থাপন করা হয়। তুলে ধরা হয় স্মার্ট নেতৃত্বের দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন কৌশল।
দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলের মঞ্চে হাতের তালু স্পর্শ করে এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনোমি প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত এই এসডিএলএ উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। তালু স্পর্শ করতেই এসময় পর্দায় চলে আসে বঙ্গবন্ধুর তর্জনী।
এসময় স্পিকার শিরিম শারমিন জানান, স্মার্ট লিডারশিপ একাডেম ‘র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে এখন আর অনেক খরচ করে সিঙ্গাপুরে যেতে হবে না। এতে সরকার এবং কর্পোরেট খাতের খরচ বাঁচবে।
প্রত্যেক নাগরিককেই স্মার্ট নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের এই পদক্ষেপ বলে জানান স্পিকার। অচিরেই এই একাডেমি একটি স্টেট অব এক্সিলেন্স হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ইভলভিং ইস্যু। আজ যা আছে তা কয়দিন পর পরিবর্তিত হয়। তাই এসব বিষয় মাথায় রেখেই এই একাডেমি বিশ্বমানের হতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হলে প্রযুক্তির সঙ্গে থাকতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। তাই প্রযুক্তিতে আত্মস্থ করতে হবে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে ছিটকে পড়তে হবে।
এর আগে ‘স্মার্ট লিডারশিপ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ উপস্থাপনায় তুলে ধরেন স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমির কর্মকৌশল অনুষ্ঠানের সভাপতি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, পৃথিবী এখন ক্রসকাট পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে। নতুন কিছু প্রযুক্তি এই সময়কে মারাত্মক বদলে দিয়েছে। আমরা চাই বা না চাই সোশ্যাল মিডিয়া, এআই, বায়োটেকনোলজি আমাদের জীবনকে বদলে দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো যেনো মানবতার বিরুদ্ধে না যায় সে জন্য আমাদের এগুলোর ব্যবহার জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে আমাদের সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ সফট সুপার পাওয়ার হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চান।
বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব মডেল তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতিমারি করোনার পরিবর্তীত সময়ে সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব কৌশল অনুসরণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মোঃ শামসুল হক টুকু।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এর আব্দুস সালাম স্বাগত বক্তব্যে জানান জাতীয় সংসদ ২৮টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পুরোপুরি ডিজিটাল হয়েছে। চালু হয়েছে ই-নথি।
সমপানীতে প্রধান অতিথি ছিলেন চীফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন।
অনুষ্ঠানে ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন : দ্য চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপারচুনিটিস’ এবং সোশ্যাল মিডিয়অ ফর ডেভেলপমেনট অ্যান্ড ডেমোক্রেসি শীর্ষক দুটি বিষয়ে আলোচনা করেন এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার, সেন্ট্রার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) তন্ময় আহমেদ, আগাখানা একাডেমির মারুফ হাসান এবং দিপাইপার খ্যাত হাসান বেনাউল।