স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো প্রযুক্তি দক্ষ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। পক্ষকাল ব্যাপী কার্যক্রমের অধীনে দেশজুড়ে ৯০০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ৩৬০০০ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্মার্ট মানবসম্পদ গড়ে তোলার পাশাপাশি শিক্ষকরাও ফ্রিল্যান্সিং করে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ নিয়ে দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সকালে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত থেকে ‘শিক্ষকদেরকে শিক্ষার মেরুদণ্ড’ অভিহিত করে পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের সুযোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে হলে তাদেরকে গড়ে তোলার সবচেয়ে পবিত্র দায়িত্ব পালন করার ঐতিহাসিক দায়িত্ব এসে পড়েছে শিক্ষকদের ওপর। তারা যদি তাদেরকে সঠিকভাবে প্রযুক্তি দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারে তবে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প কাজে আসবে না। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে আইসিটি শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রতিটি স্কুলেই আরো তিন জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ভবিষ্যত স্মার্ট বাংলাদেশের আজকের শিক্ষার্থীরা যেনো শুধুমাত্র চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সেজন্য তাদেরকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে প্রযুক্তি খাতে কোটি কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে যা ঘরে বসেই করা যায়। এরইমধ্যে ইন্টারনেটের শক্তি ও তারুণ্যের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা লার্নিং আর্নিং প্রকল্পের আওতায় করোনার সময়ে প্রায় ৪৩ হাজার প্রশিক্ষণ দিয়েছি। লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। শি-পাওয়ার প্রকল্পে ১০ হাজার ৫০০ নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি ডিজিটাল ইকোনোমি ও সিটিজেন হয়ে ওঠার ধারণা দেয়ার আহ্বান জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। জানালেন, আগামীতে বাংলাদেশের সবগুলো স্কুলকেই পেপারলেস করতে ৩২ ধরণের বিশেষ সফটওয়্যার দেয়া হবে। গড়ে তোলা হবে আরো ১ হাজার স্মার্ট স্কুল। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ১০ লাখ প্রোগ্রামার তৈরি করা হবে। যারা কর্মসংস্থানের জন্য উদ্বিগ্নদের মধ্য থেকে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে।
আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প পরিচালক এস এ এম রফিকুন্নবী।
এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জেলাপ্রশাসক, ইউএনও ও বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।