ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৯০টি স্থানে ১ হাজার ৪২৭টি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ক্যামেরাগুলোর মধ্যে আছে লং ভিশন ক্যামেরা, পিটিজেড ডোম ক্যামেরা, চেকপয়েন্ট ক্যামেরা ও বুলেট ক্যামেরা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
‘হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা যানবাহনের বেপরোয়া গতি নজরদারি করতে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা চালু করা হবে। এই প্রকল্পের পরিচালক হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক বরকত উল্লাহ খান।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, রাজধানীর সাইনবোর্ড থেকে চট্টগ্রামের সিটিগেট এলাকা পর্যন্ত দুটি অঞ্চলে বিভক্ত হাইওয়ে পুলিশ। দাউদকান্দি থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত গাজীপুর অঞ্চল এবং বাকি অংশ কুমিল্লা অঞ্চল মহাসড়কে লাগানো ৪৯০টি পোল (ক্যামেরা লাগানোর খুঁটি) ৫টি মনিটরিং সেন্টার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ক্যামেরা থেকে ডেটা সংরক্ষণের জন্য মেঘনাঘাট এলাকায় একটি দ্বিতল ডেটা সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। একতলায় একটি ডেটা সেন্টার এবং অন্য তলায় একটি মনিটরিং সেন্টার থাকবে। এ ছাড়া গাজীপুর অঞ্চলে একটি মনিটরিং সেন্টার হবে। আর কুমিল্লা অঞ্চলে চারটি মনিটরিং সেন্টারের মধ্যে মেঘনাঘাট ছাড়াও দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা, কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয় ও বার আউলিয়া হাইওয়ে থানায়ও একটি করে মনিটরিং সেন্টার হবে।