ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের ১৫তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গরবার (৫ এপ্রিল ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) সম্মেলন কক্ষে ইএফডি চালাবের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ১০১ জন বিজয়ীর চালান নম্বর ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য (ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি) আব্দুল মান্নান শিকদার। মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চালানের ওপর ভিত্তি করে এ লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
লটারি দেখতে EFD (1) এ ক্লিক করুন।
লটারিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত নম্বর হলো- 002721GALCULD359। দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বর হলো- 001322KSIBEZQ323। তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বরগুলো হলো- 000022EDIYVZX947, 001122RZDEHDJ978, 003522UHLVFRT580, 0004220XWLZZV633 ও 001322KGRIUPD484।
লটারির ড্র এনবিআরের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া তিন কার্যদিবস পর পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। পুরস্কার প্রাপ্তিতে সমস্যা হলে ০১৯৬৩৬৩৬৫৫৪ এই নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে এনবিআর।
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডির উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এসময় প্রচারের অভাবে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) লটারিতে মানুষকে আগ্রহী করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এনবিআর সদস্য (ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি) আব্দুল মান্নান শিকদার।
তিনি বলেন, এনবিআর থেকে ১০১ জনকে ইএফডি চালানের ওপর পুরস্কার দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ হলো মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। অনেকই বিষয়টি না জানার কারণে ভ্যাট চালান ফেলে দেন কিংবা ফলাফলে অংশ নেন না। সেজন্য আমরা প্রচার-প্রচারণার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি।
আব্দুল মান্নান বলেন, ইএফডি চালানের ব্যবহার বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ। ইএফডি চালান না নিলেও ক্রেতাকে ভ্যাট দিতে হচ্ছে। কারণ এখন পণ্যের মূল্যের মধ্যেই ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই কেউ চালান না নিলেও ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে।
ইএফডি মেশিন বসানোর পরে ভ্যাট আদায় প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি উল্লেখ করে এনবিআর সদস্য বলেন, চালান নেওয়া বা না নেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তবে আমাদের অটোমেটেড সিস্টেম চলমান।
তিনি বলেন, ইএফডি চালানের ব্যবহার ও ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি মনিটরিং করতে প্রত্যেক কমিশনারেটে আমাদের টিম রয়েছে। তারা বিষয়টি মনিটরিং করছেন। আশা করি ভবিষ্যতে ফলাফল পাওয়া যাবে।
ইএফডি হলো আধুনিক হিসাবযন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টারের (ইসিআর) উন্নত সংস্করণ। এ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত লেনদেন বা বিক্রির তথ্য জানতে পারছে এনবিআর। এর মধ্যে কত অংশ ভ্যাট তা জানা যাবে। ফলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে এবং আদায় বাড়বে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দৈনিক লেনদেনের তথ্য তদারকিতে এনবিআরের সার্ভারের সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে ইএফডি মেশিন। এজন্য ইতোমধ্যে সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৪১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসিয়েছে এনবিআর।