বাংলাদেশের শহরগুলোর মধ্যে সিলেট শহরের উবার যাত্রীদের গড় রেটিং সর্বোচ্চ। ৪.৮৯ গড় রাইডার রেটিং নিয়ে বাংলাদেশি উবার চালকদের মতে, এই শহর বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো আচরণকারী শহর। ৪.৮৪ গড় রাইডার রেটিং নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারী ঢাকার গড় রাইডার রেটিং হলো ৪.৭১। ব্যবহারকারীর (যাত্রী ও চালক উভয়ই) সংখ্যার দিক দিয়েও এই তিনটি শহর বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয়।
ড্রাইভার পার্টনারদের দেওয়া রেটিং অনুসারে বুধবার এই তথ্য-উপাত্ত প্রকাশে করেছে উবার বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, উবারের দ্বিমুখী রেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রী ও চালকরা তাদের আচরণ ও সামগ্রিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একে অপরকে রেট করতে পারেন। সর্বোচ ৫ স্কোরের মধ্যে এই রেটিং করা যাবে। সম্প্রতি, প্রথমবারের মতো যাত্রীদের রেটিং কীভাবে গণনা করা হয়, তা সহজে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে উবার। উবার অ্যাপের নতুন প্রাইভেসি সেন্টারে তারা নিজেদের রেটিংয়ের বিস্তারিত জানতে পারবেন। একজন যাত্রীর রেটিং হলো তার শেষ ৫০০টি ট্রিপের গড়।
উবার বিশ্বাস করে, নিজেদের তথ্য যাত্রীদের কাছে দৃশ্যমান থাকা উচিত। ইন-অ্যাপ প্রাইভেসি সেন্টারে গিয়ে তারা তথ্যটি দেখতে পারবেন।
এই নতুন ফিচার ও মাইলফলকটি স্পর্শ করা নিয়ে উবার বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারত প্রধান আরমানুর রহমান বলেন, “নিত্যনতুন পণ্য ও পরিষেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে সেবা প্রদান করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি আনন্দিত যে, এখন যেকোনো উবার ব্যবহারকারী অ্যাপের নতুন প্রাইভেসি সেন্টার থেকে নিজের গড় রেটিংয়ের বিস্তারিত জানতে পারবেন। কয়জন চালক আপনাকে ৫-এ ৫ রেটিং দিয়েছে আর কয়জন ১ দিয়েছে সহ আরো অনেক কিছুই জানার সুযোগ আপনি এখন পাচ্ছেন। চালক ও যাত্রীদের মধ্যে একটি ইতিবাচক, সভ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।”
যাত্রীদের এই তথ্য প্রদানের মাধ্যমে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে উবার আশাবাদী। প্ল্যাটফর্মের চালকদের সাথে কথা বলে উবার প্রধান ৫টি বিষয়ের একটি তালিকা তৈরি করেছে। নিজেদের রেটিং উন্নত করতে এই তালিকা যাত্রীদের সাহায্য করবে।