তাঁকে আমরা বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা বা এলজিইডি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রকৌশলী হিসেবেই চিনি। কিন্তু অন্তরালে তিনি ছিলেন প্রযুক্তি বাংলার কিংবদন্তী পুরুষ। আধুনিক অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পথিকৃৎ। ইন্টারনেট যেভাবে বিশ্বগ্রাম সৃষ্টি করেছে সেভাবে কেন্দ্র থেকে প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে অংশগ্রহণ মূলক জাতীয় অর্থনীতিতে উৎপাদক থেকে ভোক্তার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সংযুক্তিতে তিনি আমৃত্যু ছিলেন দেশের সেবক।
সেই কিংবদন্তীতুল্য কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। জীবদ্দশায় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী দায়িত্ব পালন করেছেন বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পিডিবি’র চেয়ারম্যান হিসেবে। তবে ‘স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর’- এলজিইডি গড়ে তোলা তার জীবনের সবচেয়ে বড় কীর্তি।
তিনি ছিলেন চির আধুনিক ও প্রযুক্তিপ্রেমী
আধুনিক চিন্তা-চেতনার অধিকারী কামরুল ইসলাম সিদ্দিক বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কেও জ্ঞান রাখতেন এবং সেই প্রযুক্তি বাংলাদেশে কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে বিভোর থাকতেন। তাঁর উজ্জ্বল প্রমাণ এলজিইডিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা। যখন মোবাইল ফোন ছিলো সোনার হরিণ; তখন তিনি নিজের অফিসারদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সবার আগে সকর্মীদের হাতে তুলে দেন আধুনিক প্রযুক্তির এই ডিভাইসটি।
আজকের বাংলাদেশে ‘ডিজিটাল’ শব্দটি ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেলেও এর বাস্তবায়ন শুরু হয় কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের মাধ্যমে নব্বইয়ের দশকে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা দেশের মানচিত্র তৈরির মাধ্যমে। যে মানচিত্রের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের কোন অঞ্চলে কি ধরনের কাজ করা সম্ভব তা নির্ধারণ করা যায়। আজকের এলজিইডির দৃষ্টিনন্দন ভবন তারই সৃষ্টি। জাইকা ও জেবিআইসির সহায়তায় রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার (আইডিইসি) ভবন নির্মাণ করে এলজিইডির সব প্রকল্পকে একই ছাদের নিচে সঙ্কুলান করেন। ফলে এলজিইডির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় সহজতর হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে আসে ক্ষিপ্র গতি।
নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ, উন্নত কলাকৌশল নিয়ে কাজ করা এবং আধুনিক বিশ্বের চিন্তা-ভাবনাকে দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগানোর বিষয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে গেছেন তিনি। দেশের স্বার্থে দাতা সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেওয়ার দক্ষতা দেখে অবাক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তার সমসাময়িক ব্যক্তিরা। পাশাপাশি সরকারের কোনো দফতর থেকে আদায় করার ক্ষেত্রে তিনি যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন তা এক কথা ছিলো অসাধারণ। সময়মতো কাজ আদায়ের পাশাপাশি মনিটরিং করার ক্ষেত্রে তার যে অক্লান্ত চেষ্টা ছিল তা সত্যি অবাক করার মতো।
জন্ম ও পরিবারিক জীবন
সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর মন্বন্তরের। ১৯৪৫। ওই বছরের ২০ জানুয়ারি কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন ক্ষণজন্মা এই কীর্তি পুরুষ। তিনি কৃষি উন্নয়ন সংগ্রামী মরহুম নুরুল ইসলাম সিদ্দিক ও সমাজ সেবী রত্নগর্ভা মা হামিদা সিদ্দিক’র সন্তান। শৈশবে কুষ্টিয়া মিশন স্কুল ও সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুলে তার বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। কুষ্টিয়া কলেজ থেকে তিনি ১৯৬২ সালে আইএসসি পাশ করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি পৌর প্রকৌশলী হিসেবে খুলনা মিউনিসিপ্যালিটিতে বদলি হয়ে যান। তিনি প্রখ্যাত সুফি সাধক কাজী আবু মোকাররম ফজলুল বারীর কন্যা সাবেরা সিদ্দিকার সঙ্গে ১৯৭৪ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার একমাত্র ছেলে সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক আইটি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তা৷ বড় মেয়ে আরিফা সিদ্দিক গৃহিনী। মেজো মেয়ে মারেফা সিদ্দিক চিকিৎসক। ছোট মেয়ে তাসনিমা সিদ্দিক গৃহিনী।
মুক্তিযুদ্ধ
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের ৩০ এপ্রিল তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন৷ পরে ভারতের ‘বেতাই’ ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণ করেন৷ বৃহত্তর কুষ্টিয়া এবং পাবনা অঞ্চল নিয়ে গঠিত জোনাল কাউন্সিলের অন্যতম সহযোগী যোদ্ধা হিসেবে তিনি মুক্তিকামী যুবকদের সংগঠিত করে প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন৷
মুক্তিযুদ্ধের পর তার চাকরিতে উন্নতি শুরু হয়। বিশ্বের দাতা দেশগুলোর আস্থা অর্জন করেন এবং দাতা দেশ গুলো তাকে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন। যুদ্ধবিধস্ত দেশকে গড়তে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন প্রয়োজন। সে দিকে তিনি মনোনিবেশ করেন এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী ব্যুরোর এলজিইব’র (LGEB) প্রধান প্রকৌশলী পদে অধিষ্ঠিত হন।
পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী ব্যুরো এলজিইব’র নাম পরিবর্তন হয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় সারা দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি রাস্তা পাকা করেছেন, ব্রিজ, কালভার্ট, পাকা অবকাঠামো তৈরি করে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেন।
কর্মজীবন
কামরুল ইসলাম সিদ্দিক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি ১৯৬৭ সালে সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কাস প্রোগ্রাম) হিসেবে কুষ্টিয়াতে তার কর্মজীবন শুরু করেন পরে । ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। ইংল্যান্ডের শেফিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টাউন অ্যান্ড রিজিওন্যাল প্লানিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডে যান। ইংল্যান্ড থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশে ফিরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগে (এলজিইডি) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পিডিবির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আলোচিত গুলিস্থান যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার প্রকল্পের মূল পরিকল্পনাকারী। ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা সমিতি তাকে উন্নয়ন সারথী পদক ২০০২ প্রদান করেছে। তিনি ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া সমিতির সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) কামরুল ইসলাম সিদ্দিক যে বীজ বপন করেছিলেন, তার ওপর ভিত্তি করেই আজ গ্রামীণ অবকাঠামোর এত উন্নয়ন হয়েছে। তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ ও কর্মবীর। আজ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য যে হাউজিং প্রকল্প, সেটা কামরুল ইসলাম সিদ্দিক’র অবদান। তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। এলজিইডি, প্রাইভেটাইজেশন, তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান আরবান ট্রান্সপোর্ট, রাজধানীর অবকাঠামো উন্নয়নে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ডের (ডিটিসিবি) নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। আজকের পূর্বাচলেও রয়েছে তার অবদান।
স্মার্টনেস
ঝাকড়া চুল। সুগভীর দৃষ্টি। ঠোঁটে ঝুলতো হাসি। আচরণে ছিল না উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার ঠাঁট-বাট। স্মার্ট ব্যক্তিত্ব গুণে তিনি কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ছিলেন অনন্য। বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে অত্যন্ত বিজ্ঞ ব্যক্তি, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক ও দক্ষ ব্যবস্থাপক। সব মিলিয়ে একজন নিষ্ঠাবান, নিবেদিতপ্রাণ, দেশ প্রেমিক ও নিরলস কর্মী।
তাঁর সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং গ্রামীণ উন্নয়নের প্রথম দিককার একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ছিল (LGEB)। পরবর্তী সময়ে যেটা তারই নেতৃত্বে এলজিইবি-এলজিইডি হিসেবে একটি মহীরুহে পরিণত হয়। জনাব সিদ্দিক’র কাজের পরিচয় পাওয়া যেতো এলজিইডি এর নিউজলেটারের মাধ্যমে। এমন করে এর আগে কোনো প্রকৌশলী উন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন খবর জনগণের কাছে তুলে ধরেছেন; তার নজির নেই। তার নেতৃত্বে এলজিইডি হয়ে ওঠে দেশের অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠান এবং যার কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বিস্তৃতি লাভ করে। সরকারি অর্থ ছাড়াও এলজিইডি-এর কাজে সহায়তায় অর্থ আসে থাকে বহু দাতা সংস্থা ও দাতা দেশ থেকে। তারা সবাই একবাক্যে এলজিইডিকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবেই গণ্য করেন।
কামরুল ইসলাম সিদ্দিক’র কিংবদন্তী তুল্য অবদান এলজিইডি-এর মতো একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। পরবর্তী সময়ে অবশ্য তিনি আরও কয়েকটি প্রকল্প, প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন নেটওয়ার্কের (আন্তঃযোগাযোগ কেন্দ্র) সফল নেতৃত্ব দেন। Rubber Dam, GIS, MRDP ইত্যাদি সৃজনশীল প্রকল্পের উদ্যোক্তা এবং বাস্তবায়নকারী হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন নিরলস এবং সফল কর্মী হিসেবে। একজনের জীবনে এমনি একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মধ্যদিয়েই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর স্মার্টনেস।
শুধু দেশ নয়; বিশ্ব দুয়ারেও তাঁর স্মার্টনেস ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৩-২০০৪ মেয়াদে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশীপ সাউথ এশিয়া রিজিয়নের প্রথম চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশীপ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফোরাম ফর রুবাল ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনসহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যাপকভাবে নিজেকে সমপৃক্ত রেখেছেন আমৃত্যু। নিজ জেলা কুষ্টিয়ার জগতি ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামের মায়ের নামে হামিদা সিদ্দিক কলেজিয়েট স্কুল এবং পিতার নামে নুরুল ইসলাম সিদ্দিক এতিমখানা গড়েছেন।
শীর্ষে তিনি
কামরুল ইসলাম সিদ্দিক যখনই যেখানে ছিলেন, নিজ ক্যারিশম্যাটিক গুণে উঠে গেছেন শীর্ষে। Bangladesh Power Development Board-এর সভাপতি, Bangladesh Renewable Energy Association-এর সভাপতি, Bangladesh Forum for Urban Development-এর সভাপতি, Engineering Staff College of Bangladesh-এর Governing Body-এর Conveyor, আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির সভাপতি, সিদ্দিক’স ফাউন্ডডেশন, কুষ্টিয়ার সভাপতি, বেগম হামিদা সিদ্দিক কলেজিয়েট স্কুলের সভাপতি, ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা সমিতির সভাপতি, গুলশান সোসাইটির সহ-সভাপতি, Eye Care Society-এর সহ-সভাপতি, কাজী আবু মোকাররম ফজলুল বারী ইসলামিক ফাউন্ডেশন সেন্টারের উপদেষ্টা ও ২০০২-‘০৩ মেয়াদে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) তিনি নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন৷ আজীবন সদস্য ছিলেন BMSRI এবং BIRDEM-এর ৷
কাজের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রয়াত এই গুণি প্রকৌশলী ভাসানী স্বর্ণপদক (১৯৯৫), কবি জসীম উদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৯৫), আইইবি স্বর্ণপদক (১৯৯৮), সিআর দাস স্বর্ণপদক (১৯৯৯), আব্বাস উদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৯৯), শেরেবাংলা স্বর্ণপদক (২০০০), বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী স্বর্ণপদক (২০০০), জাইকা মেরিট অ্যাওয়ার্ড (২০০০), বিএসিই সিলভার জুবিলি অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডধারী প্রকৌশলী সিদ্দিককে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিশ্বব্যাংক ১৯৯৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল রোড ফেডারেশন কতৃক পার্সন অব দ্য ইয়ারএ ভূষিত হন৷ ২০০৩-২০০৪ মেয়াদে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক Global Water Partnership-South Asia Region-এর প্রথম চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন৷
অমরত্ব লাভ
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার নিউ জার্সিতে একমাত্র ছেলে সাইফুল সিদ্দিক’র বাসায় ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। জীবদ্দশাতে নয়ই; মৃত্যুর পরও কোটি মানুষের স্মৃতিতে বেঁচে থাকা এই কীর্তিমান মুক্তিযুদ্ধ বা দেশ গড়ার কাজে ছিলেন অগ্রণী। ছিলেন প্রথম কাতারে। তারপরও আজও তাকে জাতীয় ভাবে কোনো স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তার জন্ম দিনে আমাদের এই দীনতা সহসাই ঘুচবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।