আগামী ২৫ জানুয়ারি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় অংশীদারদের উদ্যোগে নেদারল্যান্ডসে বসতে যাচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু অ্যাকশন সামিট-২০২১। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ওই দিন ঐতিহাসিক এক স্বর্ণালী মুহূর্তের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় উদ্বুদ্ধ করতে গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশিপ-জিডাব্লিউপি ওয়াটার চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড শীর্ষক পুরস্কার।
আর সেই পুরস্কারটাই পেতে পারে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের নারীদের সংগঠন মাদারস পার্লামেন্ট (এমপি)। ইতোমধ্যেই প্রতিযোগিতায় ফাইনালিস্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছে এই সংগঠন। তবে ১২টি সংগঠনের মধ্যে চূড়ান্ত ধাপে তাদের জয়ী করতে দিতে হবে অনলাইন ভোট। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পর পর ভোট দেয়া যাবে বিজয় ছিনিয়ে আনতে।
এজন্য‘মাদারস পার্লামেন্ট অ্যাডভোকেটস ফর ক্লাইমেট রিসাইলেন্ট ওয়াশ ফ্যাসিলিটিজ’ বিভাগে গিয়ে এটিকে স্ক্রল করতে হবে। এরপর নিচে থাকা ‘লাভ’ সাইনে ক্লিক করলে ভোট জমা হয়ে যাবে। ভোট দিতে https://www.gwp.org/vote লিংকে ক্লিক করতে হবে।
ফলে দেশের নেটিজেনদের একটি ভোট দেশকে এগিয়ে নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেছে মাদারস পার্লামেন্ট।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ৩৫০টি আবেদনের মধ্যে একটি ছিল ডব্লিউএএসএইচ ফ্যাসিলিটি। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর এই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশের মাদারস পার্লামেন্ট। পানি বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত রাখা একটি জুড়ি বোর্ড যাচাই-বাছাই করে এমন ১৩৯টি উদ্যোগকে যোগ্য ঘোষণা করে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল বাংলাদেশও। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় রাউন্ডে ৭৮টি ইন্সপাইরিং সেমি-ফাইনালিস্ট তালিকাতেও জায়গা করে নেয় মাদারস পার্লামেন্ট। শেষ ধাপে অক্টোবরে জুরি বোর্ডের মূল্যায়নে ১২ ফাইনালিস্টের অনার্স বোর্ড ঘোষণা করা হয়।
এবার চূড়ান্ত মুহূর্ত। আর এই উদ্যোগ এখন চ্যাম্পিয়নের ‘পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ পেতে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অপেক্ষায় আছে এমপিরা (মাদারস পার্লামেন্টের সদস্যরা)।
দীর্ঘদিন ধরেই সফলতার সঙ্গে সাশ্রয়ী ডব্লিউএএসএইচ প্রযুক্তির কথা প্রচার করে গেছেন তারা। তাদের এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততা এবং বন্যার সমস্যা নিরসনে কাজ করে তাদেরই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি। ফাইনালিস্ট হিসেবে তাদেরকে ২০২১ সালের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় দলগুলোর সম্মেলন (সিওপি) ২৬- এ ডাকা হবে। সেখানে তারা জলবায়ু প্রতিরোধী জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠার গল্প শোনাবেন। আর মাদারস পার্লামেন্টেকে এই উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা করছেন ফয়জুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই পিপলস চয়েসে অনলাইন ভোট দেওয়া শুরু হলে বর্তমানে এর অবস্থান তৃতীয়। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে বলিভিয়া এবং ব্রাজিল। ভোট দেওয়া যাবে আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত। আমাদের আহ্বান, ভোট করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া।