পঞ্চম প্রজন্মের দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি চালু হলে বর্তমান পাটকল ও চিনি শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে নতুন করে বেকার সৃষ্টি হওয়ার আগেই এই শ্রমিকদের প্রযুক্তি শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছরেই ফাইভজি চালু করতে ইতোমধ্যে ২৬ শ ও ৩৫০০ ব্র্যান্ডের তরঙ্গের ব্লক ও মূল্য নির্ধারণ করার লক্ষ্যে ফাইভ-জি কমিটি কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য ফাইভ জি আপাতত ব্যবহার করা হবে শিল্প ও কলকারখানায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় সরকার সকল শিল্প-কারখানায় ফাইভ-জি সংযোগ দিতে চায়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আইওটি ডিভাইস নির্মাণপ্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। দেশের পাটকল ও চিনি শিল্প গুলি ধারাবাহিক লোকসানের কারণে সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠন ও নেতাদের দাবি পাটকল ও চিনি শিল্প কে আধুনিক ভাবে নির্মাণ করা গেলে ও উৎপাদন বৃদ্ধি হলে লোকসান এড়িয়ে লাভ করা সম্ভব।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে সকল শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান আরো বৃদ্ধির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে সংগঠনের সভাপতি বলেছেন, ফাইভ-জি বাস্তবায়নের ফলে এই শিল্প-কলকারখানার উৎপাদন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু উৎপাদন ব্যবস্থা শ্রমিকের পরিমাণ হবে খুবই কম। বর্তমানে যে শ্রমিক ভাইয়েরা কাজ করছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৯৫% আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান সম্পন্ন নয়। ফলে শিল্প কলকারখানা প্রযুক্তি নির্ভর ও অধিক উৎপাদন সম্পন্ন হবার পাশাপাশি এ খাতের বর্তমানে প্রযুক্তি জ্ঞানহীন প্রায় ৯৫% শ্রমিকই কর্মহীন হয়ে পড়বে। আমাদের পরামর্শ থাকবে ফাইভ-জি বাস্তবায়নের পূর্বেই রাষ্ট্রীয় শিল্প-কলকারখানা সকল শ্রমিককে প্রযুক্তি জ্ঞান নির্ভর ভাবে প্রশিক্ষিত করা। দ্বিতীয়তঃ এসকল শিল্প-কলকারখানা আর পাশাপাশি এসকল শিল্প-কলকারখানায় স্বরবর্ণ করার মত কাঁচামাল তৈরি বান্ধব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা তৈরি করা। এ সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কলকারখানায় অধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।