ফিনপ্রো কনসালট্যান্টস লিমিটেডের আয়োজনে সম্প্রতি বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং-এ দক্ষ্য জনবল গঠনের লক্ষ্যে ফিনটেক : ইসলামিক ফাইন্যান্স ট্যালেন্টস- রোল অব ইউনির্ভার্সিটিজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাইনান্সে বর্তমান চাকরির বাজার এবং ক্যারিয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে দেশ-বিদেশ থেকে ফিনটেক, ইসলামি ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মাঈন উদ্দিন, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আশরাফুল ফেরদৌস চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন এবং মালয়েশিয়ার আইএসআরএ’র গবেষক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। আলোচনা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের অনুষদ সদস্য ড. এম মহাব্বত হোসেইন।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা ইসলামি ব্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে দারুন সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে ইসলামিক ফাইনান্স সেবার ক্ষেত্রে ড্যাটা সাইন্স, এনালাইটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহারের দিকে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে ফিনপ্রো কনসালট্যান্টসের চেয়ারম্যান মো. লতিফুল ইসলাম বলেন, দেশে যেভাবে ইসলামিক ফাইন্যান্সের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হারে এই খাতে জনবল সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না, যা ইসলামিক ফাইন্যান্সের অগ্রগতির জন্য অন্তরায় হতে পারে।
ড. আশরাফুল ফেরদৌস বলেন, দেশে প্রায় ২৫ শতাংশ ব্যাংকিং মার্কেট শেয়ার এবং ৩৫ শতাংশ রেমিট্যান্সের অংশিদার ইসলামিক ব্যাংকগুলোতে ক্যারিয়ার গঠনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে গতানুগতিক পদ্ধতি অনুসরনের কারনে চাকুরীপ্রার্থীরা ইসলামী ফাইন্যান্স অধ্যয়নের পরিবর্তে গতানুগতিক পদ্ধতির দিকে বেশী মনোনিবেশ করছেন।
মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ মালয়েশিয়ার ইসলামিক ফাইন্যান্সের অগ্রগতির অভিজ্ঞতা তুলে বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক গবেষনার বিষয়বস্তুতে ইসলামিক অর্থনীতি যোগ করা যেতে পারে। ব্যাংকিং বা অর্থনীতির মূলধারার বিষয়গুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল/ ইথিক্যাল/ গ্রীন/ সাস্টেইনেবল/ অল্টারনেটিভ ফিনান্স, বিভিন্ন সব নামে
ইসলামিক ফিনান্স যুক্ত করার সুযোগ আছে। অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন ইসলামিক ফাইন্যান্সে লোকবলের চাহিদা এবং যোগানের উপর গুরুত্ব দেন। ড. মাঈন উদ্দিনের আলোচনার সূত্র ধরে মাহফুজা খানম বলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামিক ফাইন্যান্সের উপর নতুন বিভাগ করা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তবে চাহিদা দৃশ্যমান করা হলে এটা সম্ভব পাবলিক কিংবা প্রাইভেট যে খাতেই হোক। তিনি ইসলামিক ফাইনান্স সেবার ক্ষেত্রে ড্যাটা সাইন্স, এনালাইটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকে আলোকপাত করেন।