ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললে বুঝতে হবে এর মহাসড়ক কি। এই মহাসড়কের মধ্যে সবচেয়ে আগে রয়েছে ব্রডব্যান্ড।
শুক্রবার রাতে আইসিটি সাংবাদিকদের জাতীয় পেশাজীবী সংগঠন বিআইজেএফ সদস্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকের আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিআইজেএফ সভাপতি মোঃ মোজাহেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, কোষাধ্যক্ষ এনামুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিব রহমান এবং নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান সোহেল ও রাহিতুল ইসলাম রুয়েল ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পল্লব মোহাইমেন, মোহাম্মাদ আব্দুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট আমার মৌলিক অধিকার। আমার দৃষ্টিভঙ্গি রাতারাতি বদলে যাওয়ার নয়। আমার লড়াই ৩৩ বছরের। আমি সবসময়ই ইন্টারনেটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী।
তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট মানেই ব্রডব্যান্ড। এটা আমার কথা না। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের কথা। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুযায়, প্রতি ১০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পেনিট্রেশনের মাধ্যমে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ঘটে। আর প্রতি ১ হাজার ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে প্রায় ১০ জন কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থান হয়। তাই সবার জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, এখন দেশে ৭৭৭ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাকি আছে। তবে আগামী বছরে কোনো ইউনিয়ন বাদ থাকবে না। অবকাঠামো তৈরির দায়িত্ব আমি কন্টিনিউ করছি। আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে সদ্য করোনা-জয়ী বিআইজেএফ সদস্য হিটলার এ হালিম তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।