ঢাকা মহানগরীর পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ বাড়াতে আরো একটি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। হেমায়েতপুর হতে গাবতলী-মিরপুর ১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান ২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটের বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণকাজ তদারকির জন্য বুধবার পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি সই হয়।
ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ বাসভবন থেকে যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি (His Excellency ITO Naoki) এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রায় এক হাজার ছয়শত কোটি টাকার চুক্তিপত্রে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে জাপানের নিপ্পন কোয়ে কোম্পানি লি.-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কেন নিশিনো (Ken Nishino) ও ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবালকোম্পানি লি.-এর সভাপতি ঈজি ইওনেযাওয়া (Eiji Yonezawa) স্বাক্ষর করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশে জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া (Yuho Hayakawa) সহ মেট্রোরেলের বিভিন্ন রুটের প্রকল্প পরিচালক, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে এসময় যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে উড়াল ও পাতালসহ ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত রুট-৫ এর নর্দার্ন অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে সাড়ে তের কিলোমিটার পাতাল এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার হবে উড়াল। এ রুটটি নির্মাণে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এরমধ্যে জাপান সরকারের অর্থায়ন প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা