চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পর এবার সাফল্যজনকভাবে বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের জিনগত রহস্য উন্মোচন করলো তিনটি প্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিসিএসআইআর এর ডিআরআইসিএম এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের যৌথ উদ্যেগে এ গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে বেসরকারি ল্যাব ডিএনএ সল্যুশন লিমিটেড।
যুগান্তকারী এ আবিষ্কারের ফলে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটির জিনগত বৈশিষ্ট্যে তারতম্য রয়েছে। তাই ভাইরাসটির সঠিক কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এর জীনগত বৈশিষ্ট্য উম্মোচন খুবই জরুরি।
দেশে করোনা আক্রান্ত দেড় শতাধিক রোগীর নমুনা নিয়ে গবেষকরা Amplicon based next Generation Sequencing সিস্টেমের মাধ্যমে ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ এর ৫ টি ভাইরাসের পুরো জিনোম সিকোন্সিং উম্মোচন করেছেন। বাকী ভাইরাসগুলোর জিনোম সিকোন্সিংও আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনএ সল্যুশন লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ ইকবাল পাঠান।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসগুলোর উম্মোচিত জিনোম সিকোন্সিংগুলো ইতোমধ্যে আর্ন্তজাতিক জীন ডাটা ব্যাংক (GISAID) বাংলাদেশ হতে গ্রহণ করেছে। করোনা ভাইরাসের এই জীনগত রহস্য উম্মোচনের মতো একটি কঠিন কাজে সার্বিক সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাসগুলোর উম্মোচিত তথ্য-উপাত্ত হতে জিনের বৈশিষ্ট্য, রোগের গতি প্রকৃতি হতে করোনার প্রতিষেধক উৎপাদনে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প সাফল্যজনক ভাবে এগিয়ে যাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডিএনএ সল্যুশন লি:এর সমন্বয়ক বিজ্ঞানী ড.মো: ফজলে আলম রাব্বি, সরকারী ডিআরআইসিএম’এর পরিচালক ড. মালা খান, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি ড.হাসানুল হায়দার।
এছাড়া এ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন স্বনামধন্য ঔষধ কোম্পানী নিপ্রোজেএমআই ফার্মার প্রধান নির্বাহী মিজানুর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী নাদিম হাসান এবং ড.আব্দুল খালেক।