ত্রাণ চেয়ে ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে ফোন দেওয়া কৃষককে ‘মারধর’ করার মামলায় নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আব্দুস সাত্তারকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, “ত্রাণ নিয়ে যে কেউ কোনো ধরণের অনিয়ম করলে বা ত্রাণ গ্রহিতাদের বিভ্রান্ত করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার ত্রাণ চাওয়ার অপরাধে কৃষক শহিদুল ইসলামকে মারধর করে ‘চরম নিষ্ঠুরতা’ দেখিয়েছেন।”
১০ এপ্রিল “৩৩৩” নম্বরে ফোন করে এলাকার গরীব মানুষদের ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন লালপুরের অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের আঙ্গারীপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫৫)। পরে ১২ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সাত্তার (৫৫) তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলসহ অজ্ঞাত এক গ্রাম পুলিশকে উক্ত কৃষক মোঃ শহিদুল ইসলাম এর বাড়ীতে পাঠিয়ে ৯নং এবি ইউপি কার্যালয়ে ইউএনও এসেছে এমন মিথ্যা বলে তাকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে । অতঃপর ১টি কক্ষের মধ্যে কৃষক মোঃ শহিদুল ইসলামকে নিয়ে উক্ত কক্ষের দরজা বন্ধ করে গ্রাম পুলিশের লাঠি দিয়ে চেয়ারম্যান সাত্তার এলোপাথারীভাবে তাকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে কালশিরা ফুলা জখম করে এবং ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে ।
এ বিষয়ে গত ১৫ এপ্রিল লালপুর থানায় একটি মামলা করা হয়।