সরকারি পর্যায়ে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ভিডিও প্রেস কনফারেন্স। আইসিটি বিভাগের আয়োজনে রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অনুষ্ঠিত সোয়া ৩ ঘণ্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার ছুটির দিনের এই সভায় সভাপতিত্ব করেন একই বিভাগের জেষ্ঠ্যস সচিব এন এম জিয়াউল আলম। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেয়া প্রযুক্তিগত নানা উদ্যোগের কথা জানান এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী।
অংশীজনদের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, ইকমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান, রবি’র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংক এর ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান প্রমুখ।
সভায় করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, লজিস্টিক এবং বিনোদন খাতকে প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আরো অংশ নেন চালডাল.কম সিইও জিয়া আশরাফ, পাঠাও সিইও হুসাইন এম ইলিয়াস, সহজ.কম সিইও মালিহা কাদির, টেন মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠাতা আইমান সাদিক, ডাটাসফট সিস্টেম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান প্রমুখ।
ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ঘরে বসেই শিক্ষাদান, টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া, খাবার–ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য ইকমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লজিস্টিক সেবার পরিধি বাড়ানো এবং তাদের নিরাপত্তা বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। নিরাপদ ই-কমার্সে স্বার্থে পণ্য ডেলিভারি ম্যানের স্বাস্থ্য সুরাক্ষা, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে জনপ্রিয় করা এবং এক্ষেত্রে উদ্ভূত পরিস্থিতি নীতিগত বাধা দূর করণের একটি বড় সুযোগ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় পাবলিক, প্রাইভেট, পিপল- মিডিয়ার অংশীদারিত্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে কেবল আপদকালীণ সময়েই নয় পরিপূর্ণ ডিজিটাল জীবন যাপনের সকল সুবিধা সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে আইসিটি বিভাগ।
ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে টানা ৩ ঘণ্টা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সমাধানে নেয়া এই উদ্যোগ দেশের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন শতাধিক অংশগ্রহণকারী। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইও, ব্যবসায়ী, পরামর্শক এবং সাংবাদিকদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চতুর্মাত্রিক এই সভাটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ডই নয়, অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে অভিমত সকলের।