জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মকে কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে’ এই আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, “এখন সব বিষয়ই বিজ্ঞান ভিত্তিক। বিজ্ঞানের বাইরে কিছু না। তাই প্রত্যেক উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি। কারিগরি স্কুল করে দিচ্ছি। ইতিমধ্যেই ১০টি স্কুল হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন সমাজ গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে হবে। বিজ্ঞান শিখতে হবে। এখন সব বিষয়ই বিজ্ঞান নির্ভর। সরকার সেভাবেই কাজ করছে। ১৯৯৬ সালে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ করে তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই লালমনিরহাটে অ্যারো স্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
গবেষণাকে উৎকর্ষের চাবিকাঠি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় ছিলো বিজ্ঞান শিক্ষায় আমাদের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ছিলো না। ৯ম শ্রেণী থেকে কে কোনো গ্রুপে যাবে তা ভাগ করে দেয়া হয়। আমার মনে হয় এই ভাগটা থাকার কোনো দরকার নেই। কারণ এসএসসি পর্যন্ত তারা সব বিষয়ই পড়তে পারে। এসএসসি’র পরে বিভক্তি হওয়াই ভালো। তাহলে মেধা বিকাশের সুযোগ পায়। দুই বছর বিজ্ঞান না পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থী এই বিষয় বা সেই বিষয়ে ভর্তি হতে পাড়বে না, এটা থাকার দরাকার নেই। পৃথিবীর অনেক দেশেই এটা নেই।
তিনি আরো বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য এখন থেকেই দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পের জন্য জনশক্তি লাগবেই। সেভাবেই কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে উঠলে আমাদের কোনো সমস্যা তো হবেই না, উপরন্তু আমরা অন্যকে সাহায্য করতে পারবো। অন্য দেশকে সাহায্য করতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি বা উপবৃত্তি দিচ্ছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাকা মায়ের মোবাইল ফোনে দেয়া হয়। এ জন্য মোবাইলফোন না থাকা ২০ লাখ মা-কে মোবাইল ফোন দিয়েছে সরকার।