চট্টগ্রাম সি-পোর্ট ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে গত ৫ বছরে পোর্টের আয় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি ডেটা সফটওয়্যারের সফটওয়্যার ব্যবহার করেই নাগরিক সেবার স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে এই আয় সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
৫ বছরে চট্টগ্রাম সি পোর্টে আয় বেড়েছে ১০ কোটি টাকা
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ৬০০ এর বেশি নাগরিক সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চলে এসেছে। সরকারের আরো ২০০০ এর অধিক সেবা ডিজিটাইজ করতে একটি সুন্দর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে ১০০টি জনবান্ধব সেবা পাবে ১০ কোটি নাগরিক
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ২৫টি মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব সম্পন্ন হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে, আমরা অন্তত ১০০টি জনবান্ধব সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সহজলভ্য করব। যার মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন মানুষ অর্থাৎ ১০ কোটি মানুষ এই ডিজিটাল সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারবে। এই ১০০টি বিশেষ সেবার মধ্যে আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কেও সমন্বয় করেছি কারণ আমাদের নৌপথ ও বন্দরগুলো অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
সমন্বিত সেবায় ৭০ শতাংশ খরচ কমবে
প্রযুক্তি ব্যবহারে নৌপরিবহণকে স্বয়ংক্রিয় করতে পারলে জনগণের হয়রানি, সময় ও অর্থ অপচয় রোধ হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং দুর্নীতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আইসিটি বিভাগ থেকে তৈরি হয়েছে ডিজিটাল আর্কিটেকচার
একটি ডিজিটাল সিস্টেম দেশের অর্থনীতিকে অনেক বেগবান করে উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চট্টগ্রাম সি-পোর্টে কাস্টমস্ প্রক্রিয়া ডিজিটাইজ করার মাধ্যমে মাত্র ৫ বছরে পোর্টের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ হাজার কোটিরও বেশি। এর মাধ্যমে একদিকে সরকারের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে দুর্নীতিও রোধ করা গেছে। টেন্ডার কার্যক্রম ডিজিটাল স্পেসে চলে যাওয়া একদিকে যেমন মানুষের ভোগান্তি কমেছে অন্যদিকে অনিয়ম করার সুযোগও বন্ধ হয়েছে। এভাবে আমরা দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছি এবং দেশের গন্ডি পেরিয়ে একটি ডিজিটাল ইকোনমি করার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। বিদেশী কোন পরামর্শক ছাড়াই দেশের মেধাবীরাই এইসব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।
ডেটার নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ও সংরক্ষণে তৈরি হচ্ছে আইন হচ্ছে । গুরুত্ব পাচ্ছে স্থানীয় ডেটার বাজার । আইনের অধীনে আসবে ব্যাংক -বীমা ও ই-নথি
তিনি আরো বলেন, ৩০ কোটি টাকায় গভর্নমেন্ট রিসোর্স প্লানিং (জিআরপি) প্রকল্পের অধীনে ৯টি মডিউল সমন্বিত একটি সফটওয়্যার তৈরি করছে দেশীয় সফটওয়্যারগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম। অথচ এই সফটওয়্যারটি বিদেশীদের কাছ থেকে ৫০-১০০ কোটি টাকায় কিনে বার্ষিক লাইসেন্স ফি দিতে হতো।