তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শেরে বাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি’র মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রমতে, ২২তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপিত ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় তিন হাজার ২২৬ কোটি ৭৫ লাখ টকা ব্যয় করে সম্বলতি ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
একনেক সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পমন্ত্রী এম এ মান্নান, সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, এসএমই সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃয়ায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রমতে, প্রকল্পটি গ্রহণের পটভূমি ও যৌক্তিকতা সম্পর্কে বলা হয়েছে,বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তি দ্রুত বর্ধনশীল খাত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। রূপকল্প-২০২-এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ আইসিটিকে বহুমাত্রিকভাবে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের মাধ্যমে সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
‘বাংলাদেশেও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিকশিত হচ্ছে। দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ হতে শিক্ষা সম্পন্ন করার পর অনেকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটে দক্ষতার সাথে কাজ করছে। অনেকের আগ্রহ থাকলেও সুযোগের অভাবে এ পেশায় আসতে পারছে না। উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি হলে এদের অনেকেই উদ্যোক্তা হতে পারবেন। দেশের মেধাবী জনবলকে আইটি পেশার উপযোগী করে গড়ে তুললে তারা ভবিষ্যতে সহজেই কেপিও জগতে বিচরণ করতে পারবে। দেশের ফ্রিল্যান্সারদের এ পেশার সাথে জড়িত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একটি সম্ভাবনাময় খাত।’