দেশী কোম্পানি ও পণ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই বিদেশী বিনিয়োগ এবং ক্রস বার্ডার ই-কমার্স বান্ধব নীতির সমন্বয় ঘটিয়ে বিদ্যমান ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা পরিমার্জন করা হবে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমিন্ডস্থ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে শতভাগ ই-কমার্স খাতে বিদেশী বিনিয়োগ হলে সেক্ষেত্রে কীভাবে দেশীয় কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব সুরক্ষায় সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রণোদনা ও দেশীয় পণ্য বিপনন বান্ধব নীতি গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বৈঠকে অংশীজনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরি ডিজিটাল কর্মাস নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজন করা হবে।
ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক ও ই-বাণিজ্য করবো নিজের ব্যবসা গড়বো প্রকল্প পরিচালক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাফিজুর রহমান ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক জামী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল,পরিচালক এম এ হক অনু , ই-ক্যাব ইউকে চ্যাপ্টারের প্রতিনিধি মো: আব্দুল্লাহ।
অন্যদিকে অংশীজনদের মধ্যে ডিজিটাল হাব সিইও সাঈদ রহমান, দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক, দারাজের সিওও খন্দকার তাসফিন আলম, ইভ্যালীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলে, আজকের ডিল সিইও ফাহিম মাসরুর, চালডালের সিওও জিয়া আশরাফ, দিনরাত্রি.কম সিইও শাহাব উদ্দীন শিপন, এসএসএল ওয়্যারলেসের পরিচালক ও সিওও আশীষ চক্রবর্তী, ব্রেক বাইটের সিইও আসিফ আহনাফ ও হাংরি নাকি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমেদ এ ডি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে স্থানীয় উদ্যোক্তারাও যেন বিদেশী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে দেশে ই-বাণিজ্য বান্ধব একটি অবকাঠামো গড়ে তোলা, বিদেশী বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সুরক্ষা,স্থানীয় ডেটা সেন্টারের তথ্য ব্যবহার ও ভোক্তার তথ্য সুরক্ষা, দেশীয় পণ্য বিক্রিতে গুরুত্বারোপ,ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা, ভিসি বিনিয়োগ জটিলতা কাটিয়ে আরো কীভাবে সহজীকরণ করা যায় এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সংশোধিত নীতিমালায় ক্রসবর্ডার ই-কমার্স নীতিমালা অন্তর্ভূক্তি, ই-বাণিজ্যের জন্য আমদানী ও রপ্তানীর ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতে ই-কমার্স খাতে যেনো একচেটিয়া ব্যবসায় পরিস্থিতির উদ্ভব না ঘটে সেসব বিষয় সন্নিবেশ করে বিদ্যমান ডিজিটাল কমার্স নীতিমালাকে রিফর্ম করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেন অংশগ্রহণকারীরা।
এছাড়াও পর্যায়ক্রমে ই-ক্যাবের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন এবং ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর আইপিও ভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খুব দ্রুতই একটি হাই লেভেল পলিসি ওয়ার্কশপের সিদ্ধান্ত এবং উপস্থিত দাবিগুলোকে ডিজিটাল কমার্স নীতিমালায় সংযোজনের প্রস্তাবনায় প্রতিনিধিগণ ঐক্য মত প্রকাশ করেন।