দৈনিক পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টেলিভিশন ও রেডিওর অনলাইন সংস্করণের জন্য আলাদা করে অনুমোদন নিতে হবে। একইসঙ্গে দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনে ভিডিও সম্প্রচারের বিষয়টিও নতুন নীতিমালার অধীনে আসছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু অনলাইন পত্রিকা নয়, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনলাইন ভার্সন ও রেডিওর অনলাইন ভার্সনের জন্য অনুমোদন নিতে হবে। দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনে ভিডিও পাবলিশ করা হচ্ছে। এগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। এগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।
তিনি বলেন, পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টেলিভিশনগুলো যে অনলাইন ভার্সন চালু করেছে, তার অনুমোদন তাদেরকে দেয়া হয়নি। টেলিভিশন ও পত্রিকাগুলোকে অনলাইন ভার্সন করার কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। এজন্য তারা এসব প্রচার করতে পারে না। যদি কেউ প্রচার করতে চায়, সেগুলোকে আমরা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই। যথাযথ অনুমোদন নিয়েই সেটি করতে হবে।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যে অনলাইন ভার্সন চালু করেছে সেটির অনুমোদন লাগবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই লাগবে। যেসব টেলিভিশন অনলাইন ভার্সন চালায় তাদেরকে আমরা অনলাইন ভার্সনের অনুমোদন দেইনি। আমরা স্যাটেলাইটের অনুমোদন দিয়েছি। ফলে তাদেরকে অনলাইন ভার্সনের অনুমোদন নিয়েই অনলাইন চালাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে একটি খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছিল- যেসব দৈনিক পত্রিকা মিডিয়া তালিকাভুক্ত তারা অনলাইন ভার্সন চালাতে পারবে। তবে এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করেছি। দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন প্রচারের ক্ষেত্রেও একটি নিয়ম-নীতি থাকা দরকার।
তথ্যমন্ত্রী জানান, দেশের অনলাইন পত্রিকার প্রকাশকদের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অপসাংবাদিকতা রোধ করার লক্ষ্যে সরকার অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৫৯৭টি আবেদন তদন্ত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কয়েকশ আবেদনের তদন্ত শেষ করেছে। সেটি আজ বা কালকের মধ্যে তথ্যমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অনলাইনগুলোর নিবন্ধন দেওয়া শুরু করা যাবে।