ডিজিটাল মাধ্যমে ‘নিরাপদ তথ্য সেবা’ নিশ্চিত করতে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষণ, ব্যাকআপ, রিকভারি, ডেটা সিকিউরিটি, ডেটা শেয়ারিং, ই-গভর্নেন্স, ই-সার্ভিস, কোলোকেশন সার্ভিস ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের কাজে ডেটাসেন্টারটি ব্যবহৃত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে আপটাইম সার্টিফাইড এই জাতীয় ডেটা সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ট্যাবে হাতের তালুর স্পর্শে ডেটা সেন্টারটির উন্মোচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডেটা সেন্টারটির একটি ফটোফ্রেম স্মারক হস্তান্তর করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় আইসিটি সচিব এম এন জিয়াউল আলম ও ডাটা সেন্টারের প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লতিফুল কবির তার সঙ্গে ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এছাড়াও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডাটা সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মোকাব্বির হোসেন এবং জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লুই, গভর্নমেন্ট এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চেন উই উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে এই ডেটা সেন্টারটি অবস্থিত। চীনের সহযোগিতায় প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়েছে। এ ডাটা সেন্টারটির ধারণক্ষমতা দুই পেটাবাইট। দুই লাখ বর্গ ফুটের ভবনটি ভূমিকম্প ও এক্সপ্লোসিভ সহনশীল। এই ডেটা সেন্টার থেকে বছরে সাড়ে তিনশো কোটি টাকার বেশি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে।