নিজস্ব ডেটা সেন্টারের মাধ্যমেই সরকারি সকল ডিজিটাল সেবা সংরক্ষণ ও পরিচালনায় সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এখন ডেটার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাকে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বিধানে ও ডেটার গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করছি। এজন্য আমরা প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে মিলে আমাদের ডিজিটাল স্পেসের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ-২০১৯ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সামির সারণের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন ফেসবুক’র পাবালিক পলিসি অ্যাডভাইজরি বোর্ড (ভারত, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া) সদস্য আঁখি দাস, ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ অ্যান্ড এআই রিসার্স কোলাবোরেটিভ’র প্রকল্প প্রধান আমান দিপ এস গিল, ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেসি প্রফেসনালস এর এশিয়া অ্যাডভাইজরি বোর্ড সদস্য ড্যামিয়ান মাপা।
আলোচানয় পলক বলেন, হোলি আর্টিজেন দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে ডিজিটাল মিটিং করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন করতে উদ্যোগ করেছেন। অনলাইনে সচেতনতা গড়ে তুলতে আইন শৃঙ্খলাবহিনী কাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকার বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে যেসব তথ্য অন্যকে আহত করে— এমন তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে। এজন্য আমরা ডেটা পলিসি করছি। এর মাধ্যমে কোন ডেটা উন্মুক্ত এবং কোন ডেটা অন্যকে জানানো যাবে না, সেটি নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে ডেটা প্রসেস করা সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে নতুন বিসনেস মডেল তৈরি করা যাবে।
এভাবে সরকার প্রযুক্তিতে নতুন উচ্চতায় নিতে চাইছে বলে দাবি করেন আইসটি প্রতিমন্ত্রী।