সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছয় বছর বয়সী অনেক শিশুর হাতেই এখন স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসি চলে যাচ্ছে। অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা বিষয়ে শেখানোর জন্য অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা নিতে হবে।
ফেসবুক ব্যবহারের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ শেখান
ফেসবুকের যেকোনও পোস্টের ওপরে ডানপাশে যে তিনটি ডট আছে তাতে ক্লিক করে আপনার
বাচ্চারা কিভাবে তাদের নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয়টি তাদের দেখিয়ে দিন।
• তারা যদি কোনও স্টোরি পছন্দ না করে তাহলে তা হাইড করতে পারে।
• তারা যদি নির্দিষ্ট কোনও ব্যাক্তির পোস্ট দেখতে না চায়, তারা সে ব্যাক্তিকে আনফলো
বা স্নোজ করতে পারে।
• হয়রানিমূলক কোনও পোস্ট আসলে তারা সেটির বিরুদ্ধে ফিডব্যাক দিতে পারে বা রিপোর্টও
করতে পারে।
লগইন পর্যালোচনা শেখান
ফেসবুক ব্যবহারকারীকে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র যেমন ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন প্রভৃতি থেকে ফেসবুকে ঢুকতে হয়। আবার একেকবার একেক রকম ব্রাউজার ব্যবহার করতে হয়।
তাই সেটিংস থেকে কীভাবে সিকিউরিটিতে ঢুকে লগইন এর তথ্য জানাতে হয় সে বিষয়ে শেখান।
আপনিও সিকিউরিটি সেটিংসে হোয়্যার ইউ আর লগড ইন দেখুন। সম্প্রতি কোথা থেকে ফেসবুকে লগইন করা হয়েছে, তা এখানে দেখতে পাবেন। এখান থেকে ডিভাইসের নাম ও সম্ভাব্য অবস্থানও দেখতে পাবেন।
আপনার বা আপনার সন্তানের অ্যাকাউন্টে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ ঢুকেছে কি না, তা-ও দেখতে পাবেন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত তা মুছে দিন এবং ফেসবুকের পাসওয়ার্ড বদলে জটিল পাসওয়ার্ড দিন।
এছাড়াও
- ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগ দিবে তখন নিরাপদ শেয়ারিং নিয়ে তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন।
- মোবাইল নম্বর বা ঠিকানা ও চেকইন ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিন।
- ভার্চুয়াল ও প্র্যাক্টিক্যাল সম্পর্ক বিষয়ে তার মধ্যে পরিস্কার ধারণা গড়ে তুলতে সহায়তা করুন।
- সন্তানের কাছে নিজেই ফেসবুক ব্যবহারে মডেল হবার চেষ্টা করুন।