আগামী ৫ বছরে জাতিসংঘ আইসিটি সূচকে সেরা প্রথম সারির ৫০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ‘একপে’, ‘একসেবা’ ও ‘একশপ’ সেবার উদ্বোধন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্টেরও মোড়ক উন্মোচন করে এই প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতিসংঘের আইসিটি ইন্ডিকেটর ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সের সেরা ৫০ এর মধ্যে আসতে চাই আমরা। ( এখন বংলাদেশের অবস্থান ১৯৩ দেশের মধ্যে ১১৫ তম) । আগামী ২০২১ সালের মধ্যে নাগরিক সেবার প্রায় সবগুলো আমরা জনগণের আঙুলের ছোঁয়ায় আনব।”
তিনি বলেন, “১০ বছর আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু তখন অনেকেই এটা বুঝেনি। তবে এখন প্রযুক্তি আমাদের ব্যাকবোন হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১০ বছরে আমরা আইসিটির ভিত্তিগুলো নির্মাণ করেছি, তাই ১০ বছর লেগেছে ই গভার্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে। আমাদের দেশ তো প্রযুক্তির দিক থেকে পেছনে পড়েছিল। সেখান থেকে এ উত্তরণের পথে আসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল অনেকের। আমরা তাদের মিথ্যা প্রমাণিত করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা।”
উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “গত ক’বছরে আমরা (ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সে) ৪০-৫০ ধাপ এগিয়েছি। আগামী ৫ বছরে আমরা কেন আরও ৫০ ধাপ এগোব না?”
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, “ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এখানে আছেন। ওই দেশের স্যামসাং পণ্য এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি, সামনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হবে। যার শুরু ইতিমধ্যেই ওয়ালটন করেছে।”
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল প্রমুখ।