আগামী সপ্তাহে জিপি-রবি’র পাওনা নিয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতে পারে বলে জানাগেছে। সূত্রমতে, হিসাব পুনঃনিরীক্ষণ এবং সুদ মওকুফ ইস্যু নিয়ে দ্রুততম সময়ে বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি আইন ও বিধির সমন্বয় ঘটিয়ে একটি উইন-উইন অবস্থায় আসতে আলোচনা আনুষ্ঠানিক ভাবে টেবিলে গড়াবে। এরপরই নির্ধারণ করা হবে কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে দীর্ঘ দিনের এই বকেয়া সমস্যার সমাধান করা যায়। নিরীক্ষা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমেই এই পক্রিয়াটি শুরু হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এবং অপারেটর দুইটির পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে ইতিবাচক বক্তব্য পাওয়া গেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের মধ্যস্ততায় শিগগিরি এই গিট্টু খুলবে বলে মনে করছেন উভয় পক্ষ। তবে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বিটিআরসি’র কেন লাইসেন্স বাতিল করা হবে না মর্মে নোটিশ প্রত্যাহার এবং জিপি ও রবি’র পক্ষ থেকে করা মামলার তুলে না নেওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক ভাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এগুতে পারছেন না।
এদিকে অর্থমন্ত্রীর নেওয়া সমঝোতার উদ্যোগে মোবাইল অপারেটটরা খুশী হলেও আইনে সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ না থাকায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাইছেন না। একই কারণে তিন সপ্তাহের মধ্যে অর্থমন্ত্রী সুরাহা হবার আশ্বাস দেওয়ার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। উভয়পক্ষই হতাশার সুর চেপে বলছেন, আগামী সপ্তাহে দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাবে।
অপরদিকে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি যে তারা মামলার পথে যাবে না। আমরাও মামলার পথে যাব না। তারা একটি হিসাব দিয়েছে, ১ টাকায় তারা সরকারকে ৫৩ পয়সা দেয়। যত ব্যবসা, তত লাভ। আমরা সেই সুযোগ নেব না কেন। তাদের আটকে দিলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।’
এই বক্তব্যটি সমঝোতার মাধ্যমে অপারেটরদের দিকেই ঝুঁকছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য তারপরও বিটিআরসি’র পরবর্তি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত মামলা তুলে না নিয় পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে জিপি ও রবি।
অর্থমন্ত্রী একটি গঠনমূলক আলোচনা ও অপারেটরদের ব্যবসায়িক পরিবেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আগের নিষেধাজ্ঞা আর বহাল থাকবে না বলার পর এ বিষয়ে অপর পক্ষ থেকে আইনি কোনো সবুজ সঙ্কেত না পেয়ে গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, লাইসেন্স সংক্রান্ত নোটিশসহ বিটিআরসির আরোপিত অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল থাকায় জিপি উদ্বিগ্ন। গত সপ্তাহের মিটিংয়ে সরকারের সাথে তারা নীতিগতভাবে যেসব বিষয়ে একমত হয়েছেন সেটিকে সামনে রেখে একটি স্বচ্ছ সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে চালিয়ে যাবে অপারেটরটি।