বকেয়া পাওনা পরিশোধ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র কাছ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ৩জি ও ৪জি লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শাও নোটিশ পেয়ে আদালতে গিয়েছিলো দুই মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে পাওনা আদায় প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা এবং তা থেকে উদ্ভূত বৈরী পরিস্থিতে স্বস্তি নেমে এসেছে অপারেটরদের মধ্যে। তাদের দাবি অনুযায়ী, আইনে সালিশী বিধান না থাকায় এবার টেবিল আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে গ্রামীণফোন প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি এবং রবি’র প্রধান নির্বাহী মাহতাব উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, এই পক্রিয়ায় দু’তিন সপ্তাহের মধ্যেই গ্রামীণফোন ও রবির কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার দাবির অডিট রিভিউ করা হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষকেই ছাড় দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবে বলে জানানো হয়।
বৈঠকের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা খুব আশাবাদী যে আজকে আমরা সবাই মিলে একমত হয়েছি বিষয়টি নিয়ে একটি স্বচ্ছ ও গঠনমূলক উপায়ে সমাধানের দিকে নিয়ে যাব। আজকের এই অগ্রগতির বিষয়ে সহায়তা করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মাণনীয় অর্থমন্ত্রী, মাণনীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং মাণনীয় চেয়ারম্যান এনবিআর । আমরা এমন একটি সুন্দর সমাধানের প্রত্যাশা করছি যেটি টেলিযোগযোগ খাত ও সরকারকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পুনরায় মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে।”
অপরদিকে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেছেন, “বিরোধপূর্ণ নিরীক্ষা আপত্তি সমাধানে সরকারের আন্তরিক ও স্বচ্ছ পদক্ষেপের ইতিবাচক সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এ ব্যাপারে কার্যকর হস্তক্ষেপের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের বিশ্বাস, আজকের ঘোষণার মধ্য দিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে সৃষ্ট বিরূপ পরিস্থিতির অবসান হবে যা এই শিল্পসংশ্লিষ্ট সবার জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে। বিগত কয়েক মাসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক গৃহীত কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপের কারণে সরকার, গ্রাহক ও মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্প যে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে তা শিগগিরই বড় ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকল্প বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ খাতের সার্বিক অগ্রগতির বিকল্প নেই; আমরা খুবই আনন্দিত যে, সে অগ্রযাত্রা আবারও তার নিজস্ব গতি ফিরে পাবে।”