ভূমির ডিজিটাল রূপান্তর শেষ হলে মামলা জটের অর্ধেকটাই কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বলেছেন, ২০২১ সালের আগেই ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে বিস্তৃত সাড়ে ৩ হাজার ভূমিঅফিসকে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের অধীনে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও ই-গভর্নেন্স থেকে দেশ আগামীতে এম গভর্নেন্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তখন নাগরিকদের আর সশরীরে অফিসে না গিয়েই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সব সেবা পেতে পারবেন। এই কাজটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করা হবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ই-নামজারির সক্ষমতা মূল্যায়নে গবেষণালব্ধ ফলাফল বিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিতে একজন ব্যক্তির গড়ে ৭ ঘণ্টার মতো কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হচ্ছে। সেবায় ৭০ শতাংশ সময় বাঁচছে। ভিজিট এবং কস্টও কমেছে।
পলক বলেন, প্রতিটি ভূমি অফিসে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করারা পাশাপাশি সফটওয়্যার সিস্টেম সল্যুশন উন্নয়নে ভূমিন্ত্রণালয়ে আগামী অক্টোবরের মধ্যে সাত দিন ব্যাপী ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব করে প্রয়োজনীয় সল্যুশন তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে দক্ষতা উন্নয়নে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, সেবা চালুর বছর না ঘুড়তেই ই-নামজারি থেকে ১০ লাখ আবেদন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৬ লাখ সমস্যার নিষ্পত্তি হয়েছে। আর দেশে ৩০ লাখ মামলার ম্যধ্যে বেশির ভাগই ভূমি সংক্রান্ত মামলা। তাই এই ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে মামলা জট অর্ধেকে নেমে আসবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমি অফিস ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয় সেম ফেইজে থাকতে পারেব সেজন্য এটুআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যায়। পুরো সিস্টেমটা ডিজিটালাইজেশন হয়ে গেলে কে কোন মান্ত্রণালয়ে সেটা দেখার বিষয় থাকবে না। অনলাইনে কাজটা শেষ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে হয়রানি বা কোনো সমস্যা থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য প্রদান করেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনা ও এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আবদুল মান্নান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন, কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ফারিয়া নাইম, ইয়েলে ইউনিভার্সিটি’র পিএইচডি গবেষক মার্টিন মাটসন প্রমুখ।