টেকনোক্রেট কোটায় হওয়ায় রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মন্ত্রিসভার তিনজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী (সংসদ সদস্য নন) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তবে এই পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত স্বপদেই দায়িত্ব পালন করতে হবে তাদের।
আর এই পদত্যাগ পত্র গৃহীত হতে হলে প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়ার পর সেটা গ্রহণ হিসেবে গণ্য হবে। সে হিসেবে সোমবার থেকেও প্রতিদিনের মতো মন্ত্রণালয়ের স্বাভাবিক কাজ করবেন তারা।
এর আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।
সেই হিসাবে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযুক্তি খাতের পূর্ণমন্ত্রী প্রাপ্ত দুই মন্ত্রণালয়ই মন্ত্রী শুন্য থাকছে না। ওই দিনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরবর্তী মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন।
সূত্রমতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে রোববার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, মন্ত্রিসভা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্য নন, তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
মসিউর রহমান ছাড়াও ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, ড. গওহর রিজভী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সালমান ফজলুর রহমান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের মধ্যে সালমান ফজলুর রহমান ছাড়া অন্যরা সংসদ সদস্য নন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। সবশেষ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোট।