জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে নাগরিক ভোগান্তি শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সাত সদস্যের টিকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেবা চলমান রেখে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এছাড়াও আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়কে প্রযুক্তিগত সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা বিষয়ক সভায় এই নির্দশনা ও আশ্বাস দেন উভয় মন্ত্রী। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোথায় ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে এই আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের অর্গানোগ্রাম বা লোকবল কাঠামোকে সময় উপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং কাউন্সিল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় এর সাতজন প্রতিনিধি সমন্বয়ে কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রমতে, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং কাউন্সিল থেকে ২ জন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ২ জন, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ২ জন এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় থেকে ১ জনকে নিয়ে এক কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এই প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই কমিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য পরামর্শ প্রদান করবে। পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় সার্ভারের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডাটাবেজ তৈরির পরামর্শ দিবে এই কমিটি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে এলজিইআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ যখন সবার কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তখন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোন প্রকার ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না।
সভায় জানানো হয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারের ক্যাপাসিটি কম থাকায় সেবা পেতে নাগরিকদের বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ সময় ন্যারো গেটওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার এর প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন করার ক্ষমতা থাকা উচিত যা বর্তমানে ১৭ হাজার রয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ রাশেদুল হাসান, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোঃ মিজানুর রহমান ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তিবিভাগের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।