আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশুদের তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার উপযোগী সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। তাদের সুশিক্ষা ও সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের শিশুরা বিশ্বের যেকোনো উন্নত দেশের শিশুদের মতোই মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান। তারা নানাবিধ প্রতিযোগিতা ও সৃজনশীল ক্ষেত্রে বিশ্বমঞ্চ থেকে সাফল্য ছিনিয়ে আনছে। আমাদের সরকার বাল্যবিবাহ নিরোধ, শিশুর সুষম বিকাশ সাধন ও সুরক্ষা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে। তবু শুধু সরকারি পদক্ষেপই এ জন্য যথেষ্ট নয়। শিশুর যাবতীয় অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন একান্ত জরুরি। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং অটিস্টিক শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশের বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সকল সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আজকে যারা শিশু, তাদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হবে ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
তিনি বলেন, শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের শিশুদেরকে জানাই আমার আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অন্যতম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ১৫ বছর আগেই ১৯৭৪ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশে শিশু আইন প্রণীত হয়। জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন শিশুর সুরক্ষা ও সার্বিক উন্নয়ন ছাড়া সমৃদ্ধ জাতি গঠনের ভিত্তি নির্মাণ সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সেই প্রজ্ঞাপূর্ণ উপলব্ধি আজ আমাদের প্রেরণা।