দেশের জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১২টি ক্যাটাগরিতে ২৮ ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক পুরস্কারই এসেছে প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে।
কম্পিউটার ক্লাব ও ট্রেনিং সেন্টারেরসহ নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ এবং গাজীপুরের প্রায় ১৮ লাখ পোশাক শ্রমিকদের টিকা কেন্দ্রের বাইরে টিকা দেয়ার প্রাযুক্তিক ব্যবস্থাপনা দিয়ে ‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগতভাবে এই পদক পেয়েছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান।
এছাড়াও এনআইডি, মোবাইল নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি-কে ডাটাবেজের অধীনে এনে ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে এবারের ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পেয়েছেন র্যাব-১১ এর জঙ্গি সেলের সাবেক ইন্টেলিজেন্স অফিসার ও কমান্ডার (বর্তমানে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার) মির্জা সালাহ উদ্দিন।
অনলাইনে প্রান্তিক মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ায় ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা এবং প্রাণী সম্পদ সুরক্ষায় ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শ্রেণিতে নওগাঁর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক।
এছাড়াও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ‘নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার’ শ্রেণিতে সম্মননা গ্রহণ করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন এবং হৃদরোগের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘গবেষণা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার’ শ্রেণিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পেয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। পদক গ্রহণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।
‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোনীতদের হাতে এ পদক তুলে দেন। পদক প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।