পরিবেশবান্ধব, নান্দনিক ও সুন্দর সবুজ নগরী গড়ার প্রত্যয়ে সাজানো হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট। এক্ষেত্রে প্রতিটি খাতে আধুনিকায়ন ও অনলাইনভিত্তিক সেবা প্রদানে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (২৪ জুলাই) গুলশানে ডিএনসিসি নগরভবনের হল রুমে বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং পাবলিক সার্ভিস নিশ্চিত করতে অনলাইনে সেবার পরিসর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। রাজস্ব বাড়াতে আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। স্মার্ট পার্কিং ও রিকশায় কিউআর কোড সম্বলিত নম্বর প্লেট সরবরাহের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া কোরবানির পশুর হাটের ইজারা বাবদ বিগত সময়ের চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ হবে। বলাবাহুল্য নতুন ওয়ার্ডগুলোতে হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট করা হলে ভবিষ্যতে গৃহকর বাবদ রাজস্ব আয় অনেক বেড়ে যাবে।
মেয়র আতিক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশে ডিএনসিসিকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অনুসরণ করে ডিএনসিসির ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি সংগ্রহের ফলে ইতোমধ্যে রাজস্ব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত প্রমুখ।