বাংলাদেশের প্রকৌশল জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র জামিলুর রেজা’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো শুক্রবার। দিবসটিতে বড় আকারের কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থকলেও স্বাধীনতার পর এ দেশে বড় বড় যত ভৌত অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, তার প্রায় প্রতিটির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন এই জাতীয় অধ্যাপক। পিতা, জাফলংয়ের ঝুলন্ত সেতুর প্রধান প্রকৌশলী আবিদ রেজা চৌধুরীর মতো পদ্মা সেতুর প্রকৌশল কাজের মূখ্য সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। বুয়েট থেকে অবসর নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে আমৃত্যু ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) উপাচার্যের দায়িত্বপালনকারী এই কর্মবীর। জীবনকালে প্রায় ৫৫ কমিটিতে কাজ করেছেন এই কীর্তিমান।
বাংলাদেশে আর্থকোয়াক সোসাইটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক দিন ধরে।
স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট স্বর্ণপদক, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ডক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি এবং জাপান সরকারের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক পদক—অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান (গোল্ড রে ও নেক রিবন) পেয়েছেন হায়াতুন নেছা চৌধুরীর এই কৃতী সন্তান।
তার স্ত্রী সেলিনা নওরোজ চৌধুরী। রয়েছে দুই সন্তান কারিশমা ফারহীন চৌধুরী ও কাশিফ রেজা চৌধুরী।
১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন সিলেটে। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল ঘুমের মধ্যে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। কিন্তু মৃত্যুকে ছাপিয়ে কাজের মাধ্যমে অমর হয়ে থাকবেন তিনি।