এবার মামলার রায় দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবলিত অ্যাপ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলেন এক বিচারক। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় ঘটেছে এই কাণ্ড। সেখানে কারতাহেনা শহরের এক অটিস্টিক শিশুর চিকিৎসার ব্যয়সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেন বিচারক হোয়ান মানুয়েল পাদিয়া। একই সঙ্গে নিজের দেওয়া রায়ের সমর্থনে পুরনো মামলার রায়ের নজির ব্যবহার করেন।
চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে একই প্রশ্নের ভিন্ন উত্তর এবং ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগের মধ্যে এটি ব্যবহার করে রায় দেয়ায় এরই মেধ্যে শুরু হয়েছে জোরালো বিতর্ক।
বিচারক মানুয়েল পাদুয়া অবশ্য ওই শিশুর চিকিৎসার ব্যয় ও যাতায়াতের খরচ ইনস্যুরেন্স কম্পানিকে দিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন। কারণ তার মা-বাবা এই খরচ বহনে সক্ষম নন। এই রায় নিয়ে খুব একটা বিতর্ক হয়নি। তবে রায় ঘোষণার সময় চ্যাটজিপিটির সঙ্গে তার কথোপকথনের কারণেই ঘটে বিপত্তি।
আদালতের নথি অনুযায়ী, বিচারক চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞেস করেন, থেরাপির ব্যয়ভার থেকে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক অটিস্টিক ব্যক্তিকে কি দায়মুক্তি দেওয়া যায়?
জবাবে চ্যাটজিপিটি বলে, হ্যাঁ। কলম্বিয়ার আইন অনুযায়ী, অটিজম শনাক্ত হওয়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের থেরাপির অর্থ দিতে হয় না।
রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করায় খেপেছেন ওই বিচারকের কয়েকজন সহকর্মী। যদিও কলম্বিয়ার আইন বলছে, বিশেষ ক্ষেত্রে মামলার রায় দিতে ভার্চুয়াল টুল ব্যবহার করা যাবে।
রায় ঘোষণা করতে প্রযুক্তির ব্যবহারের সমর্থনে ওই বিচারক বলেছেন, এর ফলে কলম্বিয়ার বিচারব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়তে পারে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটির মতো অ্যাপ মামলার রায় লেখার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু বিচারকদের প্রতিস্থাপন করা চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য নয়।