গত সপ্তাহে চুয়াল্লিশ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে কোম্পানিটি কিনে নেন মার্কিন শতকোটিপতি ইলন মাস্ক। এরপর সেখানে নিজের একাধিপত্য কায়েম করে শুক্রবার থেকে শুরু করেন টুইটারের অফিস বন্ধ করে কর্মী ছাঁটাই কার্যক্রম।
এমন পরিস্থিতিতে ইলন মাস্ক টুইটারকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্বর্গ’ গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেদিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইলন মাস্ক এমন সামজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম কিনেছেন যা ‘পুরো দুনিয়ায় মিথ্যা ছড়াচ্ছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা যে (টুইটারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার) ব্যাপারটি বুঝবে তা আমরা কীভাবে আশা করব?’ আমরা সবাই এতে শঙ্কিত; কারণ আমেরিকায় এখন আর কোনও সম্পাদক নেই…কোনও সম্পাদক নেই।’
এরপর হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, বাইডেন ‘ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোর গুরুত্বের বিষয়ে স্পষ্টবাদী’।
এরপর দিন শনিবার (৫ নভেম্বর) এক টুইটে ইলন মাস্ক বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, প্রতিদিন ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (৪১ কোটি টাকা প্রায়) আয় হারানোয় টুইটারের কর্মীসংখ্যা কমানো ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না।
Regarding Twitter’s reduction in force, unfortunately there is no choice when the company is losing over $4M/day.
Everyone exited was offered 3 months of severance, which is 50% more than legally required.
— Elon Musk (@elonmusk) November 4, 2022
তবে চাকরিচ্যুত সবাইকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন মাসের অগ্রিম বেতন দেওয়া হয়েছে, যা আইনগত বাধ্যবাধকতার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি বলে দাবি করেছেন টুইটারের নতুন মালিক।
টুইটারের নিরাপত্তা প্রধান ইয়োয়েল রথ এক টুইটে নিশ্চিত করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির ‘প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী’ কমিয়ে ফেলা হয়েছে।
Here are the facts about where Twitter’s Trust & Safety and moderation capacity stands today:
tl;dr: While we said goodbye to incredibly talented friends and colleagues yesterday, our core moderation capabilities remain in place.
— Yoel Roth (@yoyoel) November 4, 2022
তবে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের দুই হাজারের বেশি কন্টেন্ট মডারেটরের বেশিরভাগই চাকরিতে বহাল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু সাবেক এক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক টুইটে দাবি করেছেন, টুইটারের অ্যালগরিদম সংক্রান্ত একটি টিমকেও চাকরিচ্যুত করেছেন ইলন মাস্ক। তবে পরে তা অস্বীকার করা হয়েছে।