বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সমালোচনার মুখে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো মুদ্রা এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্স। প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে কয়েকটি বাজারের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়াও একাধিক বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা তাদের এখতিয়ারের মধ্যে বাইন্যান্সের কর্মকাণ্ড ‘বেআইনি’ বলে সেবাগ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার বাহরাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে প্রথম ‘ক্রিপ্টো সেবাদাতা লাইসেন্স’ পেয়েছে বাইন্যান্স।
এই লাইসেন্স দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ‘গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)’ এবং বাহরাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাহরাইনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বাইন্যান্স প্রধান চ্যাংপেং ঝাও জানিয়েছেন, এই সনদ অর্থপাচার এবং সন্ত্রাস-বিরোধী কঠোর আর্থিক নীতিমালার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখবে।
এ নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, বাহরাইন থেকে পাওয়া লাইসেন্সের সুবাদে ক্রিপ্টো সম্পদের লেনদেনের পাশাপাশি সম্পদ হেফাজতে রাখার পরিষেবা এবং পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনার অনুমতি পেয়েছে বাইন্যান্স। বাহরাইন ছাড়াও প্রতিবেশি দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নিজের উপস্থিতি গড়ে তুলছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ডিসেম্বর মাসে ‘দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (ডিডব্লিউটিসি)’কে আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সম্পদ লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং ভার্চুয়াল সম্পদ নিয়ে প্রয়োজনীয় নীতিমালা গঠনে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছিল ক্রিপ্টো মুদ্রা এক্সচেঞ্জটি। এরপর মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভার্চুয়াল সম্পদ নিয়ে নতুন আইন করে দুবাই। পাশাপাশি এই খাতে নজর রাখার জন্য নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থা গঠন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম রাজ্যটি।