অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগার থেকে প্যারোলো মুক্তি পেয়েছে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান জে ইয়ং লি। ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিনি ২০৭ দিন কারাগারে কাটিয়েছেন। এখনও তার অর্ধেক সাজা বাকি ছিলো, তবে দেশের অর্থনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট ও লি’র আচরণকে বিবেচনা করে এই মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীক কার্যবলীতে পাঁচ বছরের বিধিনিষেধের উল্লেখ রয়েছে লি’র প্যারোল শর্তাবলীতে। ফলে, তিনি স্যামসাংয়ের পরিচালনায় কতোটা জড়িত হতে পারবেন সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। সরকারি অনুমোদন ছাড়া তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না।
শুক্রবার কারাগার থেকে বের হয়ে লি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “আমি অনেক উদ্বেগের কারণ হয়েছি। আমি গভীরভাবে ক্ষমা চাইছি। আমি আমার জন্য সমালোচনা, উদ্বেগ এবং উচ্চাশা’র কথা শুনছি। আমি কঠোর পরিশ্রম করব।”
লিকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, বিশ্বের ১২তম ধনী দেশটির রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা মহামারিকালের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্যামসাং গ্রুপের মধ্যে যে নেতৃত্ব এবং সিদ্ধান্তহীনতার সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্যই এমনটি করা হচ্ছে।
আগামী ১৫ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৮১০ জন ব্যক্তি প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন। এর মধ্যে জে ইয়ং লিও ছিলেন। দীর্ঘমেয়াদে করোনা মহামারির কারণে দেশের জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে লিকে পেরোলে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া জনগনের মতামত ও কারাগারে থাকায় সময় লি’র সন্তোষজনক আচরণ বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে।
ফোর্বসের তালিকানুযায়ী জে ইয়ং লি বিশ্বের ১৮৮তম ধনী ব্যক্তি। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমান ১২ দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অভিযোগ করা হয়, সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই এর বন্ধু চোই সুন শিলের পরিচালিত সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে ৪৩ বিলিয়ন উন অনুদান দেয়। এই কারণে পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়ে। যদিও জে ইয়ং লি এবং স্যামসাং গ্রুপ এ অপরাধের কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে।
ডিবিটেক/বিএমটি