নিজের মহাকাশ গবেষণা কোম্পানী ব্লু অরিজিন নির্মিত নভোযান নিউ শেফার্ডে করে স্বপ্নের মহাকাশ সফরে গেলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের জেফ বেজোস।
এই যাত্রায় তার সাথী হয়েছেন ভাই মার্ক বেজোস, ১৮ বছর বয়সী তরুন অলিভার ডায়মেন ও কিংবদন্তী মহাকাশ গবেষক ওয়ালি ফাংক (৮২)। এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড করতে যাচ্ছেন বেজোসের শেষ দুই সহযাত্রী। এই মিশনে অংশ নিয়ে তারা দুজন হবেন যথাক্রমে মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য ও সর্বকনিষ্ঠ মহাকাশচারী।
মঙ্গলবার আলোচিত এই মিশনের সূচনা হয় টেক্সাসের স্থানীয় সময় সকাল ৯ টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টা)। ৪ যাত্রীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করা ক্যাপসুল আকৃতির মহাকাশ যানটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৬ কি.মি. দূরত্বে গিয়ে যাত্রী বহনকারী বুস্টার থেকে পৃথক হয়ে ভুপৃষ্ঠে ফিরে মূল লঞ্চিং প্যাড থেকে ২ কি.মি. দূরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ল্যান্ড করবে। আর যাত্রীবহণকারী মূল ক্যাপসুলটি ভুপৃষ্ঠ থেকে ১০৬ কি.মি. দূরত্ব পর্যন্ত যাবে।
উড়াল দেওয়ার আগে সিবিএস নিউজকে বেজোস বলেছেন, জিরো গ্র্যাভিটিতে পৌছোনো মাত্র আমি সিটবেল্ট খুলে কিছুক্ষণ ভেসে বেড়াতে চাই। সেখানে আমরা ৪ মিনিট অবস্থান করবো। আমি খুবই উত্তেজিত কারণ আমার শৈশবের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। সেখান থেকে পৃথিবীকে দেখতে কেমন লাগে তা ভাবতেই গা শিউরে উঠছে।