‘সিলভার স্প্যারো’- রুপালী চড়ুই। সত্যিকারের কোনো পাখি নয়। তাই নিষ্পাপ বা নির্বিরোধী বলার জো নেই এই ম্যালওয়্যারটিকে। এর কাজের ধরন-ধারণও কম্পিউটার ভাইরাসের মতোই। এই ম্যালওয়্যারটি প্রথম সনাক্ত করেছে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান রেড ক্যানারি।
গত এক সপ্তাহ ধরেই এই ম্যালওয়্যারটির বিচরণ লক্ষ্য করেছেন তারা। তবে এর বিচরণ রহস্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষকরা। জানিয়েছেন, ম্যালওয়্যারটি ইতোমধ্যেই বিপুল আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ম্যাকের সলিড স্টেট ড্রাইভে। এখন ঠোকর মারার অপেক্ষায়। প্রহর গুনছে নির্মাতার নির্দেশ পেতে।
ম্যালওয়ারটি এখন ইন্টেল এবং এমওয়ান চিপকে কুপোকাত করতে শাণিত করেছে চঞ্চু। ম্যাকের এমওয়ান লাইন-আপে রয়েছে ম্যাকবুক এয়ার, ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাক মিনি। তাই শঙ্কা বেড়েছে ম্যাক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার ম্যাকবুককে ধরাশায়ী করে ফেলেছে এটি। ১৫৩টি দেশে এ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে এই রূপালী চড়ুই। সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে আমেরিকায়। তার পরে ইংল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স এবং জার্মানি রয়েছে এই তালিকায়।
নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকদের তথ্য অনুযায়ী, রহস্যময় এই ম্যালওয়্যারটির রয়েছে দুইটি ভিন্ন রূপে। এর একটি ইন্টেলের চিপ সমর্থিত ম্যাক এবং অন্যটি অ্যাপলের নতুন এমওয়ান চিপসেটের ল্যাপটপের জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্ব-নিয়ন্ত্রিত ইনস্টলার হিসেবে ক্ষতিকারক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পিকেজি অথবা ডিএমজি ছড়াচ্ছে ম্যালওয়্যারটি।
তবে নতুন করে যেনো কোনো ল্যাপটপে ম্যালওয়ারটি বাসা বাধতে না পারে সেজন্য এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ডেভেলপার একাউন্টের সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করে নিয়েছে অ্যাপল।
অ্যাপল বলছে, অ্যাপ স্টোরের বাইরে ডাউনলোড করা যে কোন সফটওয়্যার ম্যালওয়্যার শনাক্ত করতে প্রযুক্তিগত পদ্ধতি (এর নোটারি সার্ভিস সহ) ব্যবহার করে ম্যাক। এরপর এটি ব্লক করে দেয়। ফলে সেটা আর কাজ করতে পারে না।