২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে গুগল প্রথম নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং রেড ক্রসের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের নামে সাবসি ক্যাবল প্রকল্পের ঘোষণা দেয়। সেই সময়ে ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও দুই উপমহাদেশের মধ্যে দীর্ঘ ক্যাবল সংযোগে জটিলতার পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান করাও জটিল হয়ে পড়ে। সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গত বুধবার চালু হয়েছে ডুনান্ট সাবসি ক্যাবল।
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ও অংশীদার প্রতিষ্ঠান সাবকমের মালিকানাধীন ডুনান্ট সাবসি ক্যাবল ভার্জিনিয়া সৈকত থেকে সেইন্ট হিলারি-ডি-রেইজের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়েছে। প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ক্যাবলের মোট সক্ষমতা প্রতি সেকেন্ডে ২৫০ টেরাবিটস। সহজভাবে বললে কংগ্রেসের সমগ্র ডিজিটালাইজড লাইব্রেরিকে প্রতি সেকেন্ডে তিনবার ট্রান্সমিট করতে পারবে এই সংযোগ।
অন্যান্য ক্যাবলের থেকে এই ক্যাবলের বিশেষত্ব হলো এতে ১২ ফাইবার পেয়ার ব্যবহার করা হয়েছে, ব্যান্ডওয়াইডথ বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ডুনান্ট সাবসি ক্যাবলে।
গুগল ক্লাউডের অবকাঠামো বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক মার্ক সকল বলেন, ক্লাউড সেবা ও অনলাইন কনটেন্টের অকল্পনীয় চাহিদাকে পূরণ করতে গুগল সর্বদাই সচেষ্ঠ। রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়া সক্ষমতা ও ট্রান্সমিশন গতি নিয়ে ডুনান্ট ক্যাবল গ্রাহকদের যেকোনো স্থানের কনটেন্টকে অ্যাক্সেস করতে সুবিধা দেবে এবং ইন্টারনেটের সবচেয়ে ব্যস্ত রুটে গুগল ক্লাউডের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
বর্তমানে কার্যকরী ডুনান্টের পর, গুগলের পরবর্তী ক্যাবল ‘গ্রেস হপার ক্যাবল’ নিউ ইয়র্ক এবং ইউরোপের মধ্যে চালু হবে, যার ল্যান্ডিং স্টেশন হবে বিলবাও, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যের বুদেতে। ১৬ ফাইবার পেয়ারের সংযোগটি ২০২২ সালে চালু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া গুগল চলতি বছরের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পর্তুগালের পর্যন্ত ইকুয়ানো ক্যাবল চালু করবে। একইসাথে একাধিক কনসোর্টিয়ামের সাথে যুক্ত হয়ে গুগল ক্যাবল সিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে।
ডিবিটেক/বিএমটি