২০১৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যয় বাড়ছে। আগামী কয়েক বছরেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ফলশ্রুতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু এশিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিতে মূলধনি ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে (৩৬৯ বিলিয়ন ডলার)। অন্যদিকে ডিজিটাল ব্যবসা, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), মেশিন লার্নিং (এমএন) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওমডিয়া। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রডব্যান্ড সেবা সরবরাহকারী, ক্যারিয়ার নিউট্রাল সেবাদাতা এবং ডাটা সেন্টার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) এখন মোবাইল কানেক্টিভিটি জোরদার, সেলুলার টাওয়ার নির্মাণ এবং ডাটা সেন্টার সক্ষমতা জোরদারে ধারাবাহিকভাবে মূলধনি বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে ওমডিয়ার এশিয়া অঞ্চলের প্র্যাকটিস লিডার ডেভিড কেনেডি জানিয়েছেন, এশিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাসংশ্লিষ্ট অবকাঠামো দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই অঞ্চলে ডাটা ও কমিউনিকেশন খাতে সেবা দিচ্ছে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে অবকাঠামো প্রস্তুতে বড় অংকের বিনিয়োগ করছে। মূলত নতুন যুগের চাহিদা পূরণে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করছে।
তবে উন্নত বিশ্বের চেয়ে সক্ষমতার দিক থেকে এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এশিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মূলধনি ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার (১৯৩ বিলিয়ন ডলার)।