চীনের জিনিসপত্র অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃতভাবে অনেকটাই সস্তা। অথচ সেসব জিনিস ব্যবহার করেন বহু মানুষ। ফলে, সেগুলির মান যে সবসময় খারাপ, সেটাও বলা যায় না।
তবে মান খুব একটা ভালো না হলেও বাজারে চীনা পণ্যই বেশি দেখা যায়। যেসব কারণে চীনা পণ্য বিভিন্ন দেশের বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে, তার মূল কারণ হল প্রযুক্তি কপি করতে তাদের ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা।
তারা বাজারের সবচেয়ে আধুনিক বা সর্বশেষ প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার যুক্ত করে না। ফোনের পারফমেন্স ও দামের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার্থেই বেশি মনোযোগ দেয় এই দেশ। অনেক চীনা ফোনেই মিডিয়াটেকের প্রসেসর থাকে। মিডিয়াটেক চীনা কোম্পানি হওয়ায় স্থানীয় ফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো তাদের কাছ থেকে কম দামে প্রসেসর কিনতে পারে।
এছাড়া, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চীনা ব্র্যান্ডের ফোনগুলোতে ডিডিআর৪ র্যামের বদলে ব্যবহার করা হয় ডিডিআর ৩ র্যাম।
এছাড়াও ফোনে ব্যবহার করা হয় কমদামি জাপানিজ বা কোরিয়ান ডিসপ্লে। অ্যামোলেড বা আইপিএস প্যানেলের তুলনায় এই ডিসপ্লেগুলোর মান খারাপ হয়।
চীনা সংস্থাগুলো তাদের ফোনের বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে। ফলে তাদের বিজ্ঞাপণে তেমন কোনো খরচ পড়েনা। নামিদামি ব্র্যান্ড যেমন স্যামসাং, সনি বা অ্যাপল টিভি কমার্শিয়াল, স্পন্সরশিপ ও তারকাদের মুখপাত্র বানিয়ে প্রচারণা চালাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন।
বড় ব্র্যান্ডগুলো রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে প্রচুর খরচ করে। অনেক চীনা ফোন কোম্পানিরই রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগই নেই। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় হয় না চীনা কোম্পানিগুলোর। এ ছাড়া, চিনের শ্রমিক অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় সস্তা।