নিয়োগের আগেই কর্মীর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ধারণা পেতে ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে যাচাই করছেন নিয়োগদাতা। আর এই ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগদাতা ও সহকর্মীদের এড়িয়ে চলতে প্রোফাইলে প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহার করেন ৪৩ শতাংশ কর্মী। আর ৪০ শতাংশই আলাদা প্রোফাইল ব্যবহার করেন।
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবের ওপর জরিপ করে এ তথ্য জানিয়েছে স্ক্রিনিং কোম্পানি জেডিপি।
দুই হাজার ব্যক্তির উপর জরিপ জানিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, নিয়োগদাতা ও সহকর্মীদের এড়িয়ে চলতে ৪৫ শতাংশ ব্যক্তি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল লুকিয়ে রাখেন। ৩৫ শতাংশ টুইটার, ৩৩ শতাংশ রেডিট এবং ৯ শতাংশ লিঙ্কড ইন ব্যবহারকারী নিজের প্রোফাইল লুকিয়ে রাখেন।
তবে সবাই যে ভার্চুয়াল অবস্থান লুকিয়ে রাখায় নিজের কল্যাণ দেখেন তা নয়। যাদের নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে তারা বরং নিজের সব অর্জনকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রকাশ করাকে জরুরি বলে মনে করেন।
জেডিপি আরো জানিয়েছে, ৮৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যক্রম প্রভাব ফেলে। এ কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুটা গোপনীয়তা অবলম্বন করেন ৮২ শতাংশ। প্রতি পাঁচ জনে একজন মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা যা পোস্ট করেন তা কর্মক্ষেত্রে জানাজানি হলে সমস্যা হতে পারে, নষ্ট হতে পারে সুযোগ।