মতামত এবং বিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে গুজবে প্রভাবিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের শীর্ষে রয়েছে চীন। ফেসবুক থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ভুল তথ্য প্রকাশ করার দায়ে চীনের সাতটি ফেসবুক পেজ, তিনটি গ্রুপ এবং পাঁচটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর গবেষণা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট।
এ বিষয়ে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফিলিপ হাওয়ার্ড বলেন, চীন এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যার জন্য দেশটিকে আমরা একটি বৈশ্বিক গুজব ছড়ানোর পরাশক্তি বলি। এর আগে রাশিয়ানরা জনগণের মতামতকে কাজে লাগাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারে সর্বাধিক সৃজনশীল এবং অবিচল ছিল। আমরা ভেবেছিলাম চীনের দক্ষতা আছে তবে সম্প্রতি তারা রাশিয়ান সরকার যতটা করেছে ঠিক তেমনই করে চলেছে।
অধ্যাপক হাওয়ার্ড আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের চরমপন্থিরা রাশিয়ার ব্যবহৃত কৌশলগুলি থেকে, প্রধানত ফেসবুক ও টুইটারের ব্যবহার শিখেছিল এবং এখন তারা সেগুলি তাদের নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনে ব্যবহার করছে।
অক্সফোর্ডের সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের পর থেকে বিশ্বের ৭০টি দেশে দ্বিগুণ বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিষয়টি। ৪৫টি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলি ভুয়া তথ্য দিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগক মাধ্যম ব্যবহার করেছে। এছাড়াও ২৬টি স্বৈরশাসিত দেশে সরকারি তথ্য নিয়ন্ত্রণ, জনমত এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা দমন, সমালোচনাকে বঞ্চিত করা এবং রাজনৈতিক মতবিরোধ ডুবিয়ে দেওয়ার উপায় হিসেবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচারের মাধ্যমে চীন হংকংয়ের বিক্ষোভকে গণতন্ত্রের সমর্থকদের সহিংস হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে।