দ্রুততম সময়ে ইসলামিক আইন সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা ভাবছে ইরান। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধর্মীয় সেমিনারগুলোতে সহায়ক হিসেবে এআই ব্যবহার করতে চান ইরানের ইসলাম শিক্ষার কেন্দ্রে থাকা কুওম শহরের ইমামরা। ইরানে থাকা দুই লাখের বেশি শিয়া ইমামদের প্রায় অর্ধেকই থাকেন কুওম-এ।
এ নিয়ে কুওমের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রযুক্তি দলের প্রধান মোহাম্মদ ঘোটবি ফাইনান্সিয়াল টাইমস-কে বলেছেন, “রোবট অভিজ্ঞ ইমামদের জায়গা নিতে না পারলেও দ্রুত ফতোয়া জারির ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে এগুলো।”
“ইরানীদের বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অংশীদার হওয়ার আকাঙ্ক্ষার বিরোধিতা করা উচিত নয়। “আজকের সমাজ প্রগতি এবং অগ্রগতির পক্ষে”- যোগ করেন ঘোটবি।
তিনি আরো বলেন, “রোবট জ্যেষ্ঠ আলেমদের প্রতিস্থাপন করতে পারে না, তবে তারা একজন বিশ্বস্ত সহকারী হতে পারে যা তাদের ৫০ দিনের পরিবর্তে পাঁচ ঘন্টার মধ্যে ফতোয়া জারি করতে সহায়তা করতে পারে।”
খবরে প্রকাশ, এআই প্রযুক্তিতে ইমামদের এই আগ্রহে পরোক্ষভাবে কাজ করেছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দৃষ্টিভঙ্গি। জুন মাসে তিনি বলেছেন, ইরানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের সেরা ১০ দেশের তালিকায় দেখতে চান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী নারী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে আধুনিকায়নের পক্ষে দাবি জোড়ালো হচ্ছে।