গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে তুমুল সাড়া জাগায় এনএফটি বা নন ফানজিবল টোকেন। বিশ্বের বহু তারকা, শিল্পী, সাবেক মার্কিন ফাস্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পসহ অনেকেই এনএফটি নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন। অথচ বর্তমানে ৯৫ শতাংশ এনএফটিই মূল্যহীন।
খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালে এনএফটি বাজারের আকার ছিলো দুই হাজার দুইশো কোটি ডলার। অথচ প্রায় দুই কোটি উৎসাহী বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ এখন অন্তসারশূণ্য বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এনফটি স্ক্যান এবং কয়েন-মার্কেট-ক্যাপের ৬৯ হাজার সাতশো ৯৫টি এনএফটি সংগ্রহের ডেটা পর্যবেক্ষণ করে ড্যাপগ্যাম্বলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সব এনএফটির ৭৯ শতাংশ অবিক্রীতই রয়ে গেছে, এবং যেহেতু যোগানের তুলনায় যথেষ্ট চাহিদা নেই, তাই গবেষকদলটি একে চিহ্নিত করেছেন “উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং হুজুগনির্ভর বাজার” বলে।
রয়েছে পরিবেশগত ঝুঁকিও। গবেষকরা এক লাখ ৯৫ হাজার ছয়শ’ ৯৯টি এনএফটি শনাক্ত করেছেন, যাদের ক্রেতা পাওয়া যায়নি এবং তারা দেখিয়েছেন সেগুলো তৈরি করতে লেগেছে দুই কোটি ৭৭ লাখ কিলোওয়াটের চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ, যা আনুমানিক ১৬ হাজার দুইশো ৪৩ টন কার্বন নিঃসরণ করেছে।
ডিবিটেক/বিএমটি