অ্যাবারডিন ইউনিভার্সিটির ১৮ বছর বয়সী ছাত্রী আনাস্তাতিয়া মায়ার্স এবং তার মা কেইশা স্কাহাফ মহাকাশে যাওয়া প্রথম মা-মেয়ে জুটি হতে চলেছেন। একটি প্রতিযোগিতার পুরস্কারস্বরূপ রিচার্ড ব্র্যানসনের অনুসন্ধান সংস্থা ভার্জিন গ্যালাক্টিকের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ভ্রমণের জন্য তাঁদের নির্বাচিত করা হয়েছে। স্কাহাফ একটি ভার্জিন আটলান্টিক ফ্লাইটে অ্যান্টিগা থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করার সময় প্রতিযোগিতা সম্পর্কে একটি বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন। পুরস্কার সম্পর্কে কৌতূহলী, স্কাহাফ বিজয়ী হওয়ার কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই প্রতিযোগিতায় নাম লেখান।
স্কাহাফকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছে- “আমি একটি ফর্ম পূরণ করেছিলাম এবং তারপরে হঠাৎ করে কয়েক মাস পরে আমি চিঠি পেলাম যে আমাকে শীর্ষ ২০জন, তারপরে সেরা পাঁচ জন, অবশেষে বিজয়ী হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে।”
রিচার্ড ব্র্যানসনের গোটা টিম একদিন আমার ঘরে ঢুকে বলল ‘তুমিই বিজয়ী, তুমি মহাকাশে যাচ্ছ’।” খবরটি জানার মা -মেয়ে হতবাক হয়ে যান। মায়ার্স বলেন, স্কটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ক্যারিবিয়ান থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার তার সিদ্ধান্তের জেরে মহাকাশে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসে গেলো।
এই তরুণী জানাচ্ছেন ”আমি যদি আজ অ্যাবারডিন ইউনিভার্সিটি বেছে না নিতাম এবং ভিসা পাওয়ার জন্য যদি আমাদের বিশাল কাঠখড় পোড়াতে না হতো তাহলে হয়তো আমরা আজ মহাকাশে যেতে পারতাম না। ”মায়ার্স বর্তমানে অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন এবং পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়ছেন এবং এই সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন।
ভার্জিন গ্যালাকটিক ০২ ফ্লাইট নিউ মেক্সিকো থেকে বৃহস্পতিবার (আগস্ট ১০) রওনা দেবার কথা রয়েছে। জুন মাসে প্রথম উড্ডয়নের পরে এটি কোম্পানির দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ফ্লাইট হবে এবং প্রায় ৮৫ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে যাবে যাত্রীদের নিয়ে। মা-মেয়ে জুটির পাশাপাশি, জন গুডউইন, একজন প্রাক্তন অলিম্পিকপ্রতিযোগীও ক্রুতে যোগ দেবেন। পারকিনসন রোগ নিয়ে মহাকাশে যাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি হয়ে উঠবেন তিনি।
যে ব্যক্তি ৫০ মাইল (৮০কিমি) বা তার বেশি উঁচুতে উড়েছে তাকে নাসা এবং মার্কিন বিমান বাহিনী উভয়েই একজন মহাকাশচারী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে। ভার্জিন গ্যালাকটিক বলেছে যে তারা ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০ জন গ্রাহকের লম্বা তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। সিট প্রতি খরচ ২ লক্ষ ৫০হাজার থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
ডিবিটেক/বিএমটি