ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) জানিয়েছে, ক্রমশ অভিষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশ যানটি দ্বিতীয় কক্ষপথে ওঠার চেষ্টা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এরপর পৃথিবীর চারপাশে নতুন ও আরও উচ্চতর কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।
গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ‘বাহুবলী’ রকেটে করে চাঁদের উদ্দেশে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-৩। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখন থেকে ৪০ দিন পর আগামী ২৩ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে এই মহাকাশযান।
শনিবার চন্দ্রযান-৩ পৃথিবীর কক্ষপথে প্রথমবার প্রবেশ করে এবং প্রদক্ষিণ করতে শুরু করে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর সর্বোচ্চ দূরত্ব ছিল ৪১ হাজার ৭৬২ কিলোমিটার। আর সর্বনিম্ন দূরত্ব ছিল মাত্র ১৭৩ কিলোমিটার। এরপর সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরের দিকে এটি দ্বিতীয় কক্ষপথে প্রবেশ করে।
পৃথিবীকে পাঁচবার প্রদক্ষিণ করার পর চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে এই মহাকাশযান। আগামী ৩১ জুলাই চন্দ্রযান-৩ পৃথিবী থেকে দশ গুণ দূরত্বে চলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা অ্যাপোজি পরিবর্তন করে বাড়াতে থাকবেন দূরত্ব। পৃথিবী থেকে প্রায় ১ লাখ কিলোমিটার দূরে পৌঁছনো পর্যন্ত বাড়তে থাকবে দূরত্ব। এখানে পৌঁছনোর পর চন্দ্রযান-৩-কে বিজ্ঞানীরা স্থাপন করবেন ট্রান্সলুনার ইনসার্টেশনে স্লিংশটের মাধ্যমে চাঁদের জন্য নির্ধারিত দূরত্বের সৌর কক্ষপথে।
পাঁচ দিন ধরে এই দীর্ঘ কক্ষপথে ভ্রমণ করবে প্রোপালশান মডিউলটি। তারপর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হবে। ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চন্দ্রযান-৩ থাকবে চাঁদের কক্ষপথের সন্নিবেশ পর্যায়ে।
তারপর চালু হবে চন্দ্রযান-৩-এর প্রোপালশান সিস্টেম। এগিয়ে দেয়া হবে চাঁদের দিকে। অর্থাৎ পাঠানো হবে চাঁদের ১০০ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে। ১৭ আগস্ট প্রোপালশান সিস্টেম আলাদা হবে চন্দ্রযান-৩-এর ল্য়ান্ডার ও রোভার থেকে।
ল্যান্ডিং প্রোপালশান মডিউল আলাদা করার পর ল্যান্ডারটিকে নিয়ে আসা হবে চাঁদের ১০০*৩০০ কিলোমিটার কক্ষপথে। এর জন্য কমানো হবে গতি অর্থাৎ ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া চলবে। ২৩ আগস্ট শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। এটি সবচেয়ে কঠিন প্রক্রিয়া। এই পর্যায় থেকেই শুরু হবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ।
ডিবিটেক/বিএমটি