বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সৌর শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
এই চুক্তির আওতায় আইএসএ বাংলাদেশে ২০৩০ সালের জন্য একটি সোলার রোডম্যাপ তৈরি করাসহ সৌর বিদ্যুতের বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সেগুলো সফল হলে সৌর প্রযুক্তির প্রসারে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ পাওয়া সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও আইএসএর মহাপরিচালক অজয় মাথুর এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টে (সিপিএ) সই করেন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সৌর বিদ্যুতের প্রসার ঘটানোর জন্য টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা স্রেডা গঠন করা হয়েছে। এই খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে গঠন করা হয়েছে ইডকল।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সৌর প্রকল্পগুলো দ্রুত সাফল্য পেতে প্রয়োজন প্রযুক্তি ও অর্থায়ন।
চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইএসএ–এর সহযোগিতায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো গতি পাবে আশা করছি। পাইলট প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়েই সাফল্যের মুখ দেখবে। রুফটপ সোলারকে উৎসাহিত করতে নেট মিটারিং গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কৃষিতেও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের উদ্যোগ বাড়ানো হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে আইএসএর মহাপরিচালক অজয় মাথুর বলেন, আইএসএ সৌর শক্তির প্রসারে অর্থায়নের কোনো কর্মসূচিতে থাকছে না। বরং বিভিন্ন কারিগরি পরামর্শ ও কর্মপরিকল্পনা সাজিয়ে দিয়ে সদস্য দেশগুলোকে সৌর শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রস্তুত করছে। প্রয়োজনে এডিবিসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সহজে ঋণ পেতে সহায়তাও করছে।