পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও দেশ একজন সন্তানকে সফল হতে যে অবদান রাখে তা যেন শেখরে উঠে ভুলে না যায় চিকিৎসকসহ সফল পেশাজীবিদের প্রতি সেই আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় দেয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আন্তরিকতা থাকলে অল্প সময়ে, অল্প সম্পদ দিয়েও অনেক বেশি সেবা করা যায়। আর আন্তরিকতা, মমত্ববোধ , ভালবাসা বা দায়িত্ববোধ না থাকে তাহলে যতো টাকা পয়সাই দেয়া হোক তাহলে তার সুষ্ঠু ব্যবহার হবে না।
এসময় স্বাস্থ্য সচেতনতায় মায়ের তিনটি পরামর্শ মেনে চলেন বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে গত দুই বছরে ৭ কেজি ওজন কমাতে পেরেছেন তিনি। পরামর্শগুলো হলো- আহার, নিদ্রা ও ভ্রমণে পরিমিতি বোধ, খাবার ক্ষেত্রে পেটকে তিন ভাগে ভাগ করার আদর্শ রীতি মেনে চলা এবং খাবারের ক্ষেত্রে বারে বেশি, পরিমাণে কম।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিক হওয়ার আগেই যদি কেউ ডায়াবেটিক রোগীর মতো জীবন যাপন করে তাহলে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। খাদ্যাভাস ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলে অনেক নিরাপদ থাকতে পারি। খাদ্যাভাস ও জীবনচারণে পরিবর্তনে আমার ওজন ৭৬ কেজি থেকে ৬৯-এ আছি। শারীরিক ভাবে আরো বেশি সুস্থতা অনুভব করছি।
এসময় জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, অধ্যাপক ডাঃ ফারুক মাজহার, অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, ডা. রেজাউল করিম, ড. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে সিংড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসও উপস্থি অনুষ্ঠানে ছেলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ১২ বছরে ১ লাখ ২৮ হাজার ৯২০জনকে সেবা দিয়েছে সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতি। এখন প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব আয় থেকেই ব্যয় নির্বাহ করছে। পাশাপশি ২২ লাখ টাকার একটা এফডিআর রয়েছে। স্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনে সরকারের কাছ থেকে ২৪ শতক জায়গা পাওয়া গেছে। সমিতির আরো উন্নয়নের জন্য ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সমিতি সভাপতি জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি আরো জানান, ২০টি বুথে ৩০ জন বিশেষজ্ঞ এম.বি.বি.এস ডাক্তার মেডিকেল ক্যাম্পটি পরিচালিত হচ্ছে। এই ক্যাম্প থেকে তিন(৩) হাজারের অধিক রোগীকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।