কর্মসংস্থানের জন্য আইটি পার্ক নির্মাণ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর এবার ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার সুযোগ করে দিতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিন।
শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা সিংড়া উপজেলার ১১ হাজার ৬০০ শীতার্ত ব্যক্তি ও পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন করেই দলের পক্ষে ভোট চাইছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সিংড়ার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন বলেন, প্রায় চারশ কোটি টাকা ব্যয়ে চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার নির্মাণকাজ চলমান আছে। ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়া শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের অভুতপূর্ব উন্নয়ন উন্নয়ন হয়েছে। এসব সেবা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলমান থাকবে। এভাবেই আমি আমৃত্যু চলনবিলের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।
তিনি আরো বলেছেন, “জনগণ ও দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ সরকার, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুখে যা বলে, কাজে তা বাস্তবায়ন করে দেখায়। সিংড়ার মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য সিংড়া শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের সন্তানরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে, আধুনিক সড়ক ও সেতু নির্মান করে দিয়েছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, কর্মসংস্থানের জন্য আইটি পার্ক নির্মাণ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৪ বছরে এমন অসংখ্য উন্নয়ন কাজ করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার, যা ২০০৮ এর আগে অন্য কোন সরকার করেনি এই সিংড়ার অবহেলিত জনপদের জন্য। আজ থেকে ৪ বছর আগে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন, ৪ বছর পর ঠিক একইদিনে আমি আপনাদের জনতার আদালতে দাঁড়িয়ে আছি; আমার বিচার-রায় আপনাদের হাতে। যাদি আমি দোষী হই, আপনারা আমাকে সমর্থন দিবেন না; আর যদি আমি আপনাদের প্রত্যাশা ও স্বপ্ন পূরণে এবং আপনাদের প্রকৃত সেবা করার চেষ্টা করে থাকি তাহলে আগামী নির্বাচনেও আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীককে আবারও নির্বাচিত করবেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার সুযোগ করে দিবেন। আবারও উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিতে হবে। কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর হাতেই দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ। আমাদের সামনে রয়েছে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্মার্ট বাংলাদেশের হাতছানি।”
অনুষ্ঠানে চায়না রেলওয়ে আন্তর্জাতিক কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান প্রতিনিধি জাং জিয়াওলিয়াং মূল বক্তার বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এদেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে শুধু উন্নয়নে নয়; বরং যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও সামাজিক ও মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে চীন। দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে চীন বাংলাদেশের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌসসহ আরো অনেকে। এ সময় সিআরআইজি, এবি ব্যাংক, জামিলা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মীসহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীর তিন ছেলে অপূর্ব জুনাইদ, অর্জন জুনাইদ ও অনির্বাণ জুনাইদ অংশগ্রহণ করে গরিব-অসহায় ও শীতার্ত মানুষের হাতে বাবার সঙ্গে তারাও কম্বল তুলে দেন। পরে প্রতিমন্ত্রী সিংড়া পৌরসভার নিউ উপশহর এলাকায় নবনির্মিত বায়তুন নেওয়াজ জামে মসজিদ উদ্বোধন করেন।
এর আগে ৩দিন ব্যাপী চলনবিল শিক্ষা উৎসব ২০২৩ আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় যোগ দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও সদ্য প্রয়াত সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা রওশন রাজ- এর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।